পহেলগাঁও-এ ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে প্রবল আতঙ্ক। বাড়ি ফেরার চেষ্টায় শ্রীনগর বিমানবন্দরে উপচে পড়ছে ভিড়। এরই মধ্যে আকাশছোঁয়া বিমান টিকিটের দাম যেন সাধারণ পর্যটকদের আরেক দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো সংস্থা শ্রীনগর থেকে অতিরিক্ত বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, বুধবার থেকে শ্রীনগর-দিল্লি এবং শ্রীনগর-মুম্বই রুটে মোট চারটি অতিরিক্ত ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। তবে শ্রীনগর থেকে কলকাতা রুটে কোনও অতিরিক্ত উড়ান চালানোর ঘোষণা এখনো করা হয়নি, যা নিয়ে হতাশ অনেক পর্যটক।
প্রসঙ্গত, এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, "বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, শ্রীনগর থেকে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মধ্যে দুটি করে অতিরিক্ত উড়ান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" এই হামলার জেরে কেন্দ্রীয় সরকারও তৎপর হয়ে উঠেছে। সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফিরে আসেন। বুধবার ভোরে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পরই তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। আজই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের আরও একটি বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে। সূত্রের খবর, হামলায় নিহত পর্যটকদের দেহ ইতিমধ্যেই শ্রীনগরে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরে দিল্লি ফিরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নেবেন।
উলেখ্য, এই ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সেনা, পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে টহল জোরদার করা হয়েছে।পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তবে এই অনভিপ্রেত ঘটনার জেরে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে বড়সড় ধাক্কা লাগতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।