হাওড়ার ডোমজুড় এলাকার একটি ওএনজিসি (ONGC)-র রাসায়নিক ও তেলের কারখানায় সোমবার দুপুরে বিধ্বংসী আগুন লাগে। আগুনের ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে মুহূর্তের মধ্যে তা কারখানার একাংশ থেকে ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায়। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর না মিললেও, আগুনের তীব্রতা এবং একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে কাজ চলার সময় হঠাৎই কারখানার একটি অংশে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ধোঁয়া ঘন কালো হয়ে আকাশ ঢেকে ফেলে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারখানার বিভিন্ন অংশে। রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল। ফলে নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীদের প্রচণ্ড বেগ পেতে হয়। ডোমজুড় থানায় খবর দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত কারখানা এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হয়। আশপাশের শ্রমিক ও কর্মীদের থাকার জায়গা থেকে সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কারখানার পাশে কোনও বসতবাড়ি না থাকায় বড় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কিছুটা এড়ানো গিয়েছে।ঘটনার সময় কারখানার ভিতর থেকে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকায় আগুন আরও দ্রুত ছড়ায় বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আশপাশের এলাকা থেকেও জল সংগ্রহ করে কাজ চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
কাদের চাকরি থাকবে, কাদের নয়? আজই চাকরিহারাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ?
উলেখ্য, দমকল ও পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য কারণ হিসেবে শর্ট সার্কিট বা রাসায়নিক বিক্রিয়া থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার পরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হবে।এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দমকলের আরও ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।