রাজ্য রাজনীতির অন্যতম চর্চিত ও প্রভাবশালী নেতা দিলীপ ঘোষ আজ জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে পা রাখতে চলেছেন। বহু আলোচনার পর, অবশেষে শুক্রবার গোধূলি লগ্নে ঘরোয়া পরিবেশে বসতে চলেছে দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ের আসর। আপাতত গোটা বঙ্গজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এই 'হাইপ্রোফাইল' বিবাহ।
প্রসঙ্গত, বিয়ের আয়োজন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পরিসরে হলেও, রাজনীতির উষ্ণতা ছুঁয়ে যাচ্ছে এই মুহূর্তকেও। এদিন দুপুরে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে শুভেচ্ছা বার্তা ও দুটি পুষ্পস্তবক। রাজনীতির ময়দানে বারবার তীব্র বাক্যযুদ্ধে জড়ানো এই দুই ব্যক্তিত্বের মধ্যে এমন হৃদয়গ্রাহী মুহূর্ত নিঃসন্দেহে নজর কেড়েছে সাধারণ মানুষের। এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “যদি কোনও বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে ওঁরই সম্ভাবনা রয়েছে।” যদিও রাজনৈতিক মঞ্চে পরবর্তীতে আবারও দেখা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে কড়া সমালোচনার ধারা, বিশেষত সাম্প্রতিক মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য তা স্পষ্ট করে দেয়। কিন্তু ব্যক্তিগত পরিসরে সৌজন্যের এই দৃষ্টান্ত নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। দিলীপ ঘোষের পাত্রীর নাম রিঙ্কু মজুমদার, যিনি একজন বিবাহ বিচ্ছিন্না এবং এক সন্তানের মা। তাঁর ছেলে একজন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। রিঙ্কুর কথায়, “উনি (দিলীপ ঘোষ) এত ডিজার্ভিং, ছেলে খুশি।” অনেক বছর ধরে পরিচিত এই দুই ব্যক্তি এবার একে অপরের জীবনসঙ্গী হতে চলেছেন, যা নিঃসন্দেহে এক আবেগঘন মুহূর্ত।
শ্রীমদ্ভগবত গীতা ও নাট্যশাস্ত্র ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত
উলেখ্য, সকাল থেকেই দিলীপ ঘোষের বাড়িতে হাজির হতে শুরু করেন একাধিক বিজেপি নেতা ও শুভানুধ্যায়ীরা। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে আজকের দিনটি শুধুই দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কুর ব্যক্তিগত আনন্দের দিন — এমনটাই চাইছে তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহল।বিয়ের আসর ছোটো হলেও, এর প্রভাব পড়ছে রাজ্য রাজনীতির আবহে। রাজনীতি আর ব্যক্তিজীবনের সূক্ষ্ম সীমানা আবারও নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে এই শুভদিনে। রাজনীতির বাইরে এক মানবিক অধ্যায় আজ রচিত হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারকে তাঁদের নতুন জীবনের জন্য রইল শুভকামনা। এই বিয়ে শুধু একটি ব্যক্তিগত বন্ধন নয়, বরং সৌজন্য ও সম্মানবোধের এক অনন্য নিদর্শনও বটে।