গরু পাচার রুখতে গিয়ে জীবন দিতে হল এক তরুণ পুলিশ কর্মীকে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে, যেখানে পুলিশের গাড়ি চালক সহদেব প্রধান নিহত হন। ঘটনায় আরও দুই পুলিশ কর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ একটি সন্দেহজনক লরি নন্দীগ্রাম এলাকা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের একটি টহলদারি ভ্যান সেই লরিটিকে ধাওয়া করে। সন্দেহ, ওই লরিতে গরু পাচার করা হচ্ছিল। ধাওয়া চলাকালীন লরিটি আচমকা পুলিশের ভ্যানে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের পর পুলিশ কর্মীরা এবং চালক গাড়ি থেকে নেমে আসে। অভিযোগ, তখনই লরিটি চালক সহদেব প্রধানকে পিষে দিয়ে পালিয়ে যায়। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সহদেব প্রধানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত দুই পুলিশ কর্মী বর্তমানে চিকিৎসাধীন।নিহত সহদেব প্রধান (বয়স ২৫) রেয়াপাড়া থানার গাড়ি চালাতেন এবং রেয়াপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর পরিবারের অবস্থা শোচনীয়—বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা ও এক ভাই। হঠাৎ এই মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সঠিক তদন্ত এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রেয়াপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক লরির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে, তবে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি যে সেই লরিতে গরু ছিল কি না।
দক্ষিণবঙ্গজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি, জারি সতর্কতা হাওয়া অফিসের
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। রাজনীতিকদের একাংশ প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন, অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।নন্দীগ্রামের শান্ত পরিবেশে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি উঠছে—গরু পাচার রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ এবং নিয়মিত নজরদারি চালানোর।