বাংলার ফুটবল প্রেমীদের জন্য আজ এক গর্বের দিন। আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল—ফুটবলে বাংলা এখনও ভারতসেরা। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইতিহাস গড়ল মোহনবাগান। মোলিনার নেতৃত্বাধীন সবুজ-মেরুন দল ২-১ ব্যবধানে হারাল বেঙ্গালুরু এফসিকে, আর সেই সঙ্গে গড়ল অনন্য কীর্তি—একই মরশুমে আইএসএল লিগ শিল্ড এবং আইএসএল কাপ জয়।
প্রসঙ্গত, ম্যাচের শুরু থেকেই দু’দল ঝাঁপিয়ে পড়ে আক্রমণে। মরশুমের সেরা দুই দলের মুখোমুখি লড়াই হয়ে ওঠে ট্যাকটিক্স ও মগজাস্ত্রের এক উত্তেজক সংঘর্ষ। প্রথমার্ধে কোনো গোল না হলেও, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নাটকীয় মোড় নেয় খেলা। ৪৯ মিনিটে অ্যালবার্তো রদ্রিগেজের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। কিন্তু সবুজ-মেরুনের লড়াই থামেনি। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড জেসন কামিন্স। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, যেখানে ৯৬ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করে মোহনবাগানকে কাপ এনে দেন জেমি ম্যাকলারেন।এই জয়ে মোহনবাগান দ্বিতীয় দল হিসেবে (মুম্বই সিটি এফসির পর) একই মরশুমে আইএসএল লিগ শিল্ড ও কাপ জয়ের নজির গড়ল। একইসঙ্গে ঘরের মাঠে আইএসএল কাপ না জেতার দীর্ঘদিনের ‘অভিশাপ’ও ভেঙে গেল আজ।
৬২ মিলিয়ন বছরের পুরনো ফসিল: স্তন্যপায়ীদের আবির্ভাবের নতুন সূত্র!
উলেখ্য, ম্যাচ শেষে আবেগে ভাসলেন জেমি ম্যাকলারেন। বললেন, "আমরা ট্রফি জয়ের লক্ষ্যেই এসেছিলাম। একটা ট্রফি আগেই জিতেছিলাম, আজ আরও একটা যোগ হলো। তবে ফাইনালে বেঙ্গালুরু দুর্দান্ত খেলেছে। আমাদের ম্যাচটা জিততে লড়াই করতে হয়েছে। এই জয়টা আমার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা। এটা আমার ট্রফি ক্যাবিনেটের একেবারে উপরের সারিতে থাকবে।"আজ শুধু মোহনবাগান সমর্থকরাই নয়, গোটা বাংলা উদযাপন করছে এই ঐতিহাসিক জয়। ভারতীয় ফুটবলের মানচিত্রে আরও একবার নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করল কলকাতার গর্ব—মোহনবাগান।