চুলের যত্নে আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি নানা রকম কেমিক্যাল-ভিত্তিক পণ্য। চকচকে, ঝলমলে এবং স্বাস্থ্যবান চুল পাওয়ার আশায় বাজারচলতি সিরাম বা কন্ডিশনারে ভরসা রাখেন অনেকে। কিন্তু এসব পণ্যে থাকা সালফেট, প্যারাবেন বা অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান চুলের গভীরে ক্ষতি ডেকে আনতে পারে দীর্ঘমেয়াদে। ফলে দেখা যায় চুলের শুষ্কতা, রুক্ষতা, আগা ফাটা বা চুল পড়ার মতো সমস্যার জন্ম।
এই ক্ষতির হাত থেকে চুলকে বাঁচাতে আজকাল অনেকেই ঝুঁকছেন প্রাকৃতিক বিকল্পের দিকে। আর এক্ষেত্রে ঘরোয়া হেয়ার সিরাম হতে পারে এক কার্যকর ও সাশ্রয়ী সমাধান। রান্নাঘরে বা হাতের কাছেই থাকা কয়েকটি উপাদান দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করে ফেলা যায় এই সিরাম। যেমন—নারিকেল তেল, যা চুলের গোড়া মজবুত করে; অ্যালোভেরা জেল, যা চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে; ভিটামিন ই ক্যাপসুল, যা চুলের কোষ পুনরুদ্ধারে সহায়ক; এবং কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল (যেমন ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি বা টি ট্রি অয়েল), যা চুলে একটি সতেজ ঘ্রাণের পাশাপাশি সংক্রমণ রোধের কাজও করে। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। ফ্রিজে রেখে সপ্তাহখানেক ব্যবহার করা যায় এই সিরাম। চুল ধোয়ার পর অথবা চুল আঁচড়ানোর আগে কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে চুলে লাগালেই তা হয়ে ওঠে মসৃণ, কোমল ও উজ্জ্বল। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমে, আগা ফাটা রোধ হয় এবং চুল ফিরে পায় তার প্রাকৃতিক দীপ্তি।
হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় যেসব খাবার হতে পারে আপনার প্রতিদিনের রক্ষাকবচ
সবচেয়ে বড় বিষয়, এই ঘরোয়া সিরাম ব্যবহারে চুলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। কেমিক্যাল পণ্যের উপর নির্ভরতা না বাড়িয়ে নিজের হাতেই তৈরি করে নেওয়া যায় এমন একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প, যা দীর্ঘমেয়াদে চুলের প্রকৃত স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনে। তাই এবার থেকে বাজারের দামী পণ্যের দিকে না তাকিয়ে, ঘরের অন্দরেই তৈরি করে ফেলুন এমন এক চুলের বন্ধু, যা আপনাকে দেবে সৌন্দর্যের সঙ্গে নিরাপত্তাও।