Flash News
  1. ভারতের উপর থেকে ট্রাম্প-ট্যারিফ প্রত্যাহারের পথে আমেরিকা
Sunday, September 21, 2025

সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা: বাংলা সাহিত্যের গোয়েন্দা কাহিনির অমর সৃষ্টি

banner

journalist Name : Ananya Dey

#Pravati Sangbad DIgital Desk:

ফেলুদাএক নামেই চেনা যায় তাঁকে। গোয়েন্দা প্রদোষচন্দ্র মিত্র, ওরফে ফেলুদা, সত্যজিৎ রায়ের এক অনবদ্য সৃষ্টি, যিনি শুধু বাংলা সাহিত্যের নয়, গোটা ভারতীয় গোয়েন্দা সাহিত্যের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। সত্যজিত রায়ের  লেখনীতে জন্ম নেওয়া এই চরিত্রটি প্রথম আবির্ভূত হয় ১৯৬৫ সালে "সন্দেশ" পত্রিকায় প্রকাশিত "ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি" গল্পে। সেখান থেকে শুরু করে ৩৫টিরও বেশি কাহিনিতে ফেলুদা, তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আর অদম্য বিশ্লেষণক্ষমতা নিয়ে পাঠকের মন জয় করে নিয়েছেন। ফেলুদা শুধু একজন গোয়েন্দাই নন, তিনি এক রুচিশীল, জ্ঞানপিপাসু এবং আধুনিক চিন্তাধারার মানুষ। শরীরচর্চা থেকে শুরু করে সাহিত্য, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, ইতিহাস, ভূগোলপ্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর জ্ঞানের পরিসর বিস্ময়কর। সঙ্গে থাকে তাঁর খুদে সহকারী গল্পের কথক তপেশ, আর বলিষ্ঠ রসিক লালমোহনবাবু। এই ত্রয়ীর রসায়ন ফেলুদার গল্পগুলোকে করে তোলে আরও জীবন্ত এবং আকর্ষণীয়। ফেলুদার কাহিনিগুলো কেবল রহস্যভেদে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তাতে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভ্রমণ আর সমাজের সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ মিশে থাকে নিপুণভাবে। বেনারস থেকে কাশ্মীর, রাজস্থান থেকে কলকাতাপ্রতিটি কাহিনির পটভূমি যেন পাঠককে নিয়ে যায় ভিন্ন এক অভিযানে। এই বৈচিত্র্যময়তা ফেলুদাকে করে তুলেছে চিরকালীন।

ঘরের বায়ু বিশুদ্ধ করতে ৭টি গাছ, প্রতিটি বাড়িতেই থাকা উচিত

 সত্যজিৎ রায় নিজে যেভাবে ফেলুদাকে চিন্তাভাবনার মধ্য দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন, তাতে তাঁর নিজস্ব বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাধারা জীবনদর্শনের ছাপ স্পষ্ট। ফেলুদার কথায়, "মগজাস্ত্রই সবচেয়ে বড় অস্ত্র।" এই মগজাস্ত্র দিয়েই তিনি মোকাবিলা করেছেন নানা চতুর প্রতিপক্ষকে। চলচ্চিত্র টেলিভিশনেও ফেলুদা সমান জনপ্রিয়। সত্যজিৎ রায় নিজেই তৈরি করেন দুটি চলচ্চিত্র — "সোনার কেল্লা" এবং "জয় বাবা ফেলুনাথ" — যেগুলি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে মাইলফলক। এরপর সন্দীপ রায় পরিচালিত সিরিজ এবং সাম্প্রতিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত আধুনিক ফেলুদাও সমানভাবে আলোচিত। ফেলুদা শুধুমাত্র একটি চরিত্র নয়, সে এক সময়ের প্রতিচ্ছবি, এক মূল্যবোধের ধারক। সত্যজিৎ রায়ের হাতে গড়া এই চরিত্র বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে এক অনন্য ঐতিহ্য, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পাঠকের মনে ছাপ রেখে চলেছে। ফেলুদা এখন শুধুই গল্পের পাতা বা সিনেমার পর্দায় নয়, আমাদের চিন্তা-ভাবনায়, রুচি কল্পনায়ও স্থায়ীভাবে বসবাস করে।

Related News