ফেলুদা — এক নামেই চেনা যায় তাঁকে। গোয়েন্দা প্রদোষচন্দ্র মিত্র, ওরফে ফেলুদা, সত্যজিৎ রায়ের এক অনবদ্য সৃষ্টি, যিনি শুধু বাংলা সাহিত্যের নয়, গোটা ভারতীয় গোয়েন্দা সাহিত্যের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। সত্যজিত রায়ের লেখনীতে জন্ম নেওয়া এই চরিত্রটি প্রথম আবির্ভূত হয় ১৯৬৫ সালে "সন্দেশ" পত্রিকায় প্রকাশিত "ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি" গল্পে। সেখান থেকে শুরু করে ৩৫টিরও বেশি কাহিনিতে ফেলুদা, তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আর অদম্য বিশ্লেষণক্ষমতা নিয়ে পাঠকের মন জয় করে নিয়েছেন। ফেলুদা শুধু একজন গোয়েন্দাই নন, তিনি এক রুচিশীল, জ্ঞানপিপাসু এবং আধুনিক চিন্তাধারার মানুষ। শরীরচর্চা থেকে শুরু করে সাহিত্য, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, ইতিহাস, ভূগোল — প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর জ্ঞানের পরিসর বিস্ময়কর। সঙ্গে থাকে তাঁর খুদে সহকারী ও গল্পের কথক তপেশ, আর বলিষ্ঠ ও রসিক লালমোহনবাবু। এই ত্রয়ীর রসায়ন ফেলুদার গল্পগুলোকে করে তোলে আরও জীবন্ত এবং আকর্ষণীয়। ফেলুদার কাহিনিগুলো কেবল রহস্যভেদে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তাতে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভ্রমণ আর সমাজের সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ মিশে থাকে নিপুণভাবে। বেনারস থেকে কাশ্মীর, রাজস্থান থেকে কলকাতা — প্রতিটি কাহিনির পটভূমি যেন পাঠককে নিয়ে যায় ভিন্ন এক অভিযানে। এই বৈচিত্র্যময়তা ফেলুদাকে করে তুলেছে চিরকালীন।
ঘরের বায়ু বিশুদ্ধ করতে ৭টি গাছ, প্রতিটি বাড়িতেই থাকা উচিত