চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের ফলাফল আজ, বুধবার প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, মেধা তালিকায় বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। পূর্বে যেখানে প্রথম দশে ছিলেন ৬৬ জন ছাত্রছাত্রী, সেখানে নতুন ফলাফলের পর সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫-এ। অর্থাৎ আরও ৯ জন পরীক্ষার্থী এবার জায়গা করে নিয়েছেন সেরা দশে।
ফলাফলে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে ১১তম স্থানে থাকা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। পাঁচ জন পরীক্ষার্থী এবার উঠে এসেছেন প্রথম দশে: বাঁকুড়ার দেবজিৎ লাহা ও পূর্ব মেদিনীপুরের অন্তরীপ মাইতি এখন ৮ নম্বর স্থানে। দক্ষিণ দিনাজপুরের চয়ন রায় ৯ নম্বর স্থানে। কোচবিহারের অনন্যা মজুমদার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রেরণা বৈদ্য ১০ নম্বর স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। ১২ নম্বর স্থান থেকে উঠে ৯ নম্বরে এসেছেন রূপম দীক্ষিত। মালদহের প্রজ্ঞান দেবনাথ ও সায়নদীপ ঘোষ ১২ থেকে ১০ নম্বরে উন্নীত হয়েছেন। পূর্ব মেধাতালিকায় ১৩ নম্বরে থাকা সোহম করণ-এর স্থানও এখন ১০ নম্বরে। আগেই তালিকাভুক্ত পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতিক মান্না ৬৯৪ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান থেকে উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর এই উত্তরণ মেধা তালিকার শীর্ষে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। মালদহের সৃজন প্রামাণিক ও বাঁকুড়ার সৌপ্তিক মুখোপাধ্যায় ৮ নম্বর থেকে ৭ নম্বরে। বীরভূমের সম্যক দাস ১০ নম্বর থেকে উঠে এসেছেন ৯ নম্বরে। স্ক্রুটিনির ফলে মোট ১০,৬০ জনপরীক্ষার্থীর নম্বর পরিবর্তিত হয়েছে। রিভিউয়ের ফলে১,১৮২ জন পরীক্ষার্থীর নম্বরে পরিবর্তন এসেছে।
বর্ষায় কাটাতে চান সমুদ্রতটে? লিস্টে রাখুন পশ্চিমবঙ্গের এই ৩টি সি বিচ
প্রসঙ্গত, ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের স্কুলে পুরনো মার্কশিট জমা দিয়ে নতুন সংশোধিত মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবে। পাশাপাশি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও ফলাফল দেখা যাচ্ছে। স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের এই ফলাফল ফের একবার প্রমাণ করল, নম্বর যাচাইয়ের এই প্রক্রিয়াটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেমন বহু পরীক্ষার্থীর ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে, তেমনই মেধা তালিকায় এসেছে বাস্তবভিত্তিক পরিবর্তন। অভিভাবক ও শিক্ষামহলে স্বস্তির হাওয়া বইছে এই রদবদলের পরে।