#Pravati Sangbad Digital Desk:
অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের জেরে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তানি বায়ুসেনা৷ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়, যার ফলে আকাশপথে শুরু হয় এক তীব্র সংঘর্ষ। যুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান এয়ার ফোর্স হারিয়েছে ৯টি যুদ্ধবিমান, একাধিক ক্রুজ মিসাইল ও ইউএভি। চার দিনের এই সংঘাতে ভারতের বায়ুসেনা যেমন নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তি প্রমাণ করেছে, তেমনি পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির পারিমান অনেক ।
৯টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস: সূত্র অনুযায়ী, ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম—বিশেষত ‘S-400’ ও ‘Akash’ মিসাইল ডিফেন্স ইউনিট, PAF-এর F-16, JF-17 Thunder সহ অন্তত ৯টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। বেশ কিছু বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে। পাকিস্তান তাদের নতুন ক্রুজ মিসাইল ‘Babur-III’ দিয়ে ভারতীয় ঘাঁটিতে আঘাত হানার চেষ্টা করে। কিন্তু DRDO-র রাডার ও Counter Missile System সেই মিসাইলকে মাঝপথেই ধ্বংস করে দেয়। এর ফলে পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক স্ট্রাইক ক্যাপাবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইউএভি ধ্বংস: ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে তিনটি পাকিস্তানি UAV (সম্ভবত ‘Shahpar’ ও ‘Burraq’) অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনা সেই ড্রোনগুলিকে যথাযথভাবে সনাক্ত করে ধ্বংস করে দেয়। ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে থাকা তথ্যের প্রযুক্তিগত বিশ্লষণের পর জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ছটি যুদ্ধবিমানকে আকাশেই ধ্বংস করা হয়৷ এ ছাড়ও পাক বায়ুসেনার একটি বহু মূল্যবান কাউন্টারমেজার এয়ারক্র্যাফট অথবা শত্রুপক্ষের হামলা চিহ্নিত করে সতর্ক করার জন্য ব্যবহৃত একটি আর্লি ওয়ার্নিং এয়ারক্র্যাফটকেও ধ্বংস করা হয়৷ প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূর থেকে এই বিমানটিকে নিশানা করে ভারতের সুদর্শন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷
ভারতের পক্ষ থেকে কৌশলগত সাফল্য- ভারতীয় এয়ার ফোর্স একদিকে যেমন সীমান্তে সক্রিয়ভাবে স্ক্র্যাম্বেল মোডে ছিল, তেমনি আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট চব্বিশ ঘণ্টা প্রস্তুত ছিল। রাফাল, সু-৩০MKI, মিগ-২৯-এর সংমিশ্রণে আকাশসীমা ছিল প্রায় অভেদ্য। পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি এবং সামরিক ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করতে শুধুমাত্র আকাশ থেকে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা৷ কোনও ভাবে মাটি থেকে মাটিতে লক্ষ্যভেদে সক্ষম ব্রহ্মোস মিসাইল ব্যবহার করা হয়নি৷ এ ছাড়াও পাকিস্তানের দশটিরও বেশি আনম্যানড কমব্যাট ভেহিকেল (ইউসিএভি) এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন বায়ুসেনা ঘাঁটি এবং পাক যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল ধ্বংস করে দেয় ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷ ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন—এই সংঘর্ষে পাকিস্তানের ক্ষতি শুধু অস্ত্রের নয়, তা মনোবল, প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত দিক থেকেও স্পষ্ট।
চার দিনের এই সংঘর্ষে ভারত শুধু সামরিকভাবে নয়, কৌশলগত ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষেত্রেও স্পষ্টভাবে এগিয়ে গেছে। পাকিস্তানের এই ক্ষয়ক্ষতি তাদের এয়ার ফোর্সকে দীর্ঘমেয়াদে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে—তাদের রণকৌশল, প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোগত দিক থেকে।