এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় দিনে নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করল ভারত। মঙ্গলবার গুলবীর সিংয়ের ১০ হাজার মিটারে সোনাজয়ের পর বুধবার টিম ইন্ডিয়ার অ্যাথলিটরা মিলে সংগ্রহ করলেন ছ’টি পদক যার মধ্যে রয়েছে দুটি সোনা, চারটি রুপো এবং দুটি ব্রোঞ্জ। এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের ফলে ভারত পদক তালিকায় উঠে এসেছে তৃতীয় স্থানে। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে চিন ও জাপান।
উলেখ্য, দিনের সবচেয়ে বড় অর্জন নিঃসন্দেহে ভারতীয় ৪x৪০০ মিটার মিক্সড রিলে টিমের সোনা জয়। সন্তোষ কুমার তামিলরাসন, রূপল চৌধুরী, বিশাল থেন্নারাসু কায়ালভিঝি এবং শুভা ভেঙ্কটেসনকে নিয়ে গঠিত এই দলটি মাত্র ৩:১৮.২০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে চিন (৩:২০.৫২ সেকেন্ড) এবং শ্রীলঙ্কা (৩:২১.৯৫ সেকেন্ড)-কে পিছনে ফেলে শীর্ষে উঠে আসে। ডেকাথলনের মতো কঠিন ও বহু-ইভেন্ট বিশিষ্ট প্রতিযোগিতায় দারুণ পারফর্ম করে রুপোর পদক জেতেন তেজস্বিন শঙ্কর। হাই জাম্পে তাঁর খ্যাতি থাকলেও এই ইভেন্টে তাঁর পারফরম্যান্সে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ভারতের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইতিহাসে। ২০ বছর বয়সি রূপল চৌধুরী নিজের মিক্সড রিলে পারফরম্যান্স ছাড়াও ব্যক্তিগত ৪০০ মিটার ইভেন্টে জিতে নেন রুপোর পদক। মাত্র ৫২.৬৮ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে তিনি পিছনে ফেলেন একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে। স্বর্ণপদক জেতেন জাপানের নানাকো মাতসুমোতো (৫২.১৭ সেকেন্ড), আর উজবেকিস্তানের জোনবিবি হুকমোভা (৫২.৭৯ সেকেন্ড) পান ব্রোঞ্জ।
ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে সীমান্ত রাজ্যগুলিতে ফের মক ড্রিলের নির্দেশ, যুদ্ধের ছায়ায় প্রস্তুতি জোরদার
প্রসঙ্গত, মহিলাদের ১৫০০ মিটার দৌড়ে ভারতের পূজা দারুণ সময় (৪:১০.৮৩ সেকেন্ড) করেও খুব অল্প ব্যবধানে স্বর্ণপদক হারিয়ে রূপো অর্জন করেন। তাঁর ঠিক সামনে চৈনিক অ্যাথলিট লি চুনহুই (৪:১০.৫৮ সেকেন্ড), এবং তৃতীয় স্থানে জাপানের তোমাকা কিমুরা। পুরুষদের ১৫০০ মিটারে ভারতের ইউনুস শাহ ৩:৪৩.০৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতে নেন। লিলি দাস এবং ভিথ্যা রামরাজ যথাক্রমে মহিলা ১৫০০ এবং ৪০০ মিটারে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে শেষ করেন। অভিজ্ঞ চিত্রাভেল পুরুষদের ট্রিপল জাম্প ইভেন্টে রুপোর পদক জয় করেন, যা টিম ইন্ডিয়ার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এই অসাধারণ পারফরম্যান্স কেবল পদক তালিকায় ভারতের অবস্থান মজবুত করেছে না, বরং ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন প্রত্যাশার আলো দেখাচ্ছে। বহু তরুণ প্রতিভার উত্থান ও অভিজ্ঞদের ধারাবাহিকতা ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলছে। আসন্ন অলিম্পিকের আগে এমন সাফল্য নিঃসন্দেহে ভারতীয় শিবিরে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।