দেশজুড়ে আবারও কোভিড-১৯ সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দিচ্ছে। এবারের ঢেউয়ের নেপথ্যে রয়েছে করোনাভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতি, যাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) চিহ্নিত করেছে NB.1.8.1 নামে। তবে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়ালেও গুরুতর অসুস্থতা বা আকাংশ ক্ষেত্রেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, NB.1.8.1 অত্যন্ত সংক্রামক, তবে পূর্ববর্তী মারাত্মক ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় এটি তুলনামূলকভাবে দুর্বল। **হাঁচি-কাশি ও ড্রপলেটের মাধ্যমে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়াচ্ছে, যা এক দেহ থেকে অন্য দেহে দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ১৮ মে পর্যন্ত বিশ্বের ২২টি দেশে NB.1.8.1 সংক্রমণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। কলকাতাও এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে। ভাইরোলজিস্টদের মতে, শহরের একাধিক কোভিড রোগীর নমুনায় এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি মিলেছে। ইতিমধ্যে কলকাতার ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। অন্যদিকে, সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০ ও ৬৬ বছর বয়সী দুই মহিলা — দু’জনেরই কোমর্বিডিটি রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বঙ্গে নিযুক্ত কোঅর্ডিনেটর ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. প্রীতম রায় জানিয়েছেন, “NB.1.8.1 তুলনামূলকভাবে দুর্বল ভ্যারিয়েন্ট। এটি শরীরকে খুব একটা কাবু করতে পারছে না। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। বাজারে অনুমোদিত যেসব কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন রয়েছে, সেগুলো এই নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধেও কার্যকর। তিনি আরও জানান, পুরনো LP.8.1 ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব ক্রমশ কমছে, যা স্বাস্থ্যখাতে ইতিবাচক ইঙ্গিত।
‘ওয়ার ২’: হৃত্বিক বনাম এনটিআর – বলিউড ও টলিউডের মহাযুদ্ধের অপেক্ষায় সিনেদুনিয়া
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণ এড়াতে পুরনো স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। জ্বর, সর্দি, কাশি থাকলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। বাইরে থেকে ঘরে এসে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। কোমর্বিডিটি থাকলে এড়িয়ে চলুন ভিড়ভাট্টা। শরীর খারাপ লাগলে ঘরে থাকুন এবং বিশ্রাম নিন। সতর্কতা অবলম্বন করলেই NB.1.8.1 সংক্রমণ রোখা সম্ভব বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।