বর্তমান যুগে যখন ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তখন প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর দায়িত্ব আরও বেড়েছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকে এবার আরও এক ধাপ এগোল জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ও প্রযুক্তিগত সুরক্ষাকে তুলে ধরতেই তারা নিয়ে এসেছে নতুন প্রচারাভিযান ‘Not Even WhatsApp’।
এই প্রচারাভিযানটির মূল বক্তব্য একটাই আপনার চ্যাট এতটাই গোপন যে, হোয়াটসঅ্যাপ নিজেও তা দেখতে পায় না। একটি ভিডিও ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের দেখানো হয়েছে, কীভাবে তারা ব্যক্তিগত আলাপচারিতা, ভিডিও কল, ও নানা সংবেদনশীল তথ্য নির্বিঘ্নে আদান-প্রদান করছেন, যা সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ। এই ক্যাম্পেইনের নামই এর মূল বক্তব্য বহন করে—‘Not Even WhatsApp’। এই প্রচারাভিযানের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ সম্প্রতি চালু করেছে ‘অ্যাডভান্সড চ্যাট প্রাইভেসি’ নামে একটি নতুন সুরক্ষা ফিচার। এই ফিচারের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত ও গ্রুপ চ্যাটকে আরও বেশি নিরাপদ রাখতে পারবেন।
ফিচারটি কীভাবে কাজ করে?
১. প্রথমে ব্যবহারকারীকে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপটি সর্বশেষ ভার্সনে আপডেট করতে হবে।
২. এরপর সেটিংসে গিয়ে ‘অ্যাডভান্সড চ্যাট প্রাইভেসি’ অপশনটি অন করতে হবে।
৩. একবার সক্রিয় করলে, কোনও চ্যাট—ব্যক্তিগত বা গ্রুপ—আর এক্সপোর্ট করা যাবে না।
৪. তবে স্ক্রিনশট নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই স্ক্রিনশট নেওয়া যাবে। এই ফিচারের সুবিধা পেতে উভয় পক্ষের হোয়াটসঅ্যাপে লেটেস্ট ভার্সন থাকা আবশ্যক।
পাকিস্তানকে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ
উলেখ্য, Meta-র মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ দীর্ঘদিন ধরেই এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের চ্যাট সুরক্ষা দিয়ে আসছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি ও চাহিদা যেমন বদলাচ্ছে, তেমনই বাড়ছে গোপনীয়তার ঝুঁকিও। সেই ঝুঁকি মোকাবিলায় হোয়াটসঅ্যাপ নিয়মিত নতুন ফিচার ও আপডেট নিয়ে হাজির হচ্ছে।‘Not Even WhatsApp’ প্রচারাভিযানটি শুধুমাত্র একটি বিপণন কৌশল নয়, এটি হোয়াটসঅ্যাপের প্রযুক্তিগত অঙ্গীকারের প্রতিফলন। ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা এখন আর কেবল একটি বাড়তি সুবিধা নয়, বরং এটি একটি প্রয়োজন। হোয়াটসঅ্যাপের ‘Not Even WhatsApp’ ক্যাম্পেইন ও ‘অ্যাডভান্সড চ্যাট প্রাইভেসি’ ফিচার নিঃসন্দেহে ব্যবহারকারীদের আস্থা অর্জনে সহায়ক হবে। প্রযুক্তির জগতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা হয়তো অন্য সংস্থাকেও অনুপ্রাণিত করবে গোপনীয়তা রক্ষায় আরও সচেষ্ট হতে।