বহু বছরের চেষ্টার পর অবশেষে সফলতা। আলিপুর চিড়িয়াখানায় খুব শিগগিরই আসতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম ভয়ংকর ও আকর্ষণীয় সাপ—সবুজ অ্যানাকোন্ডা (Green Anaconda)। চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাংক থেকে আনা হবে একজোড়া সবুজ অ্যানাকোন্ডা শাবক। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এবং মাদ্রাজের মধ্যে সব আলোচনা ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। এখন শুধু কেন্দ্রীয় জু অথরিটির ছাড়পত্রের অপেক্ষা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাংক থেকেই চারটি হলুদ অ্যানাকোন্ডা আনা হয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সেই সময় দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু হলুদ অ্যানাকোন্ডার চেয়ে দ্বিগুণ আকৃতির সবুজ অ্যানাকোন্ডার খোঁজ শুরু হয় আরও আগে থেকেই। প্রায় তিন বছর ধরে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দেশ-বিদেশে খোঁজ চালিয়ে এসেছে এই দৈত্যাকার সাপটির জন্য। দক্ষিণ আমাজনের গভীর অরণ্যে বসবাসকারী এই সাপটি বিশ্বের সবচেয়ে ভারী ও বৃহৎ সাপ হিসেবে পরিচিত। পূর্ণবয়স্ক সবুজ অ্যানাকোন্ডার দৈর্ঘ্য হতে পারে প্রায় ৩০ ফুট, ওজন প্রায় ২৫০ কেজি পর্যন্ত। হলিউড থেকে শুরু করে টলিউড, বহু চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি তাকে এক রহস্যময় ও ভয়ানক চরিত্রে পরিণত করেছে। আগেও সবুজ অ্যানাকোন্ডার জন্য মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছিল আলিপুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই সময় ফিরে যেতে হয়েছিল খালি হাতে। পরবর্তীতে রাজ্য জু অথরিটি ডব্লুএজেডএর (World Association of Zoos and Aquariums) দ্বারস্থ হলেও ফল মেলেনি। এবার অবশ্য মাদ্রাজ কর্তৃপক্ষ তাদের দুটি সবুজ অ্যানাকোন্ডার শাবক দিতে রাজি হয়েছে। বিনিময়ে তারা চেয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানার শাঁখামুটি বা ইগুয়ানা প্রজাতির সাপ।
সিকিম সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
উলেখ্য, সবুজ অ্যানাকোন্ডার জন্য বিশেষভাবে তৈরি ঘর অনেক আগেই প্রস্তুত করে রেখেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। পরিবেশ উপযোগী এবং নিরাপদ এই ঘরে নতুন অতিথিদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কর্তৃপক্ষ। সবুজ সংকেত মিললেই শুরু হবে রোমাঞ্চকর এই প্রাণীর কলকাতায় আগমনের আনুষ্ঠানিকতা। দর্শনার্থীদের জন্য এ এক নতুন চমক হতে চলেছে নিঃসন্দেহে। শুধুমাত্র রোমাঞ্চ বা কৌতূহলই নয়, জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য নিয়ে আগ্রহী মানুষদের জন্য এটি একটি দুর্লভ অভিজ্ঞতা হবে। আলিপুর চিড়িয়াখানার এই সংযোজন প্রাণীপ্রেমীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।