পুলওয়ামা বা উরি নয়, এবার প্রত্যাঘাত আরও তীব্র, আরও সুপরিকল্পিত। অপারেশন ‘সিঁদুরে রাত’-এ ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের উপর এমন এক শক্তিশালী ও নিখুঁত হামলা চালিয়েছে, যা সাম্প্রতিক কালের ইতিহাসে নজিরবিহীন। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, ১০ মে রাতভর অভিযানে পাকিস্তানের অন্তত ২০ শতাংশ বায়ুসেনা ঘাঁটি কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত।
এই জবাবি হামলার সূত্রপাত পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর। সেই ঘটনার প্রত্যাঘাতেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি এলাকায় একযোগে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা, গুঁড়িয়ে দেয় জঙ্গি ঘাঁটি ও অস্ত্র ডিপো। এর পালটা হিসেবে জম্মু থেকে গুজরাট পর্যন্ত একাধিক ড্রোন হানায় ভারতীয় সেনা ঘাঁটিকে নিশানা করার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বলয়ের দুর্ভেদ্য প্রতিরোধে সেই হামলা কার্যত ব্যর্থ হয়। এর ঠিক পরেই আসে ভারতের পালটা ঘুঁটি। ১০ মে রাতে, গোপনে পরিকল্পনা করে শুরু হয় অপারেশন ‘সিঁদুরে রাত’। মাত্র কয়েক ঘণ্টার অভিযানে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আঘাত হানে ভারতীয় বায়ুসেনা। যে ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে— রফিকি, মুরিদ, নূর খান (রাওয়ালপিন্ডি), রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, চুনিয়ান, পাসরুর, শিয়ালকোট প্রভৃতি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নূর খান এয়ারবেসে হামলা, যা পাকিস্তানের অন্যতম কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এটি পাক পরমাণু অস্ত্রাগারের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা 'স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশন'-এর সদর দফতরের খুব কাছেই অবস্থিত। এই ঘাঁটির রানওয়েতে তৈরি হয়েছে পুকুর-আকৃতির গর্ত, আশপাশে আগুন লেগে ছড়িয়ে পড়েছে ধোঁয়ার কুন্ডলী।
পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন: কড়া জবাব ভারতীয় সেনার, সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই রাতের অভিযানে পাকিস্তানের অন্তত ৫০ জন বায়ুসেনা নিহত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন এক স্কোয়াড্রন লিডারও। ধ্বংস হয়েছে একাধিক যুদ্ধবিমান ও লজিস্টিক সুবিধা। এই হামলার ছবি ও ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে ভারত সরকার, যা তুলে ধরেছে অভিযানের তীব্রতা ও নিখুঁত পরিকল্পনার নমুনা। এদিকে এই অপমানজনক পরাজয়ের পরেও পাকিস্তান সরকার ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করতে নারাজ। দেশবাসীর সামনে মুখ রক্ষায় তারা একদিকে ভারতের বিরুদ্ধে "জয়ের" দাবি তুলেছে, অন্যদিকে পর্দার আড়ালে সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ জানিয়েছে দিল্লিকে। আন্তর্জাতিক স্তরেও তারা এখন কূটনৈতিক ভাবে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে মরিয়া। ভারতের তরফে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে— সন্ত্রাসে মদত দিলে তার ভয়ঙ্কর ফল ভুগতে হবে। 'নয়া ভারত' আর মাথা নিচু করে বসে থাকবে না, বরং প্রত্যাঘাত হবে আরও প্রবল ও কার্যকর।