‘সারেগামাপা’র মঞ্চে অনন্য কণ্ঠস্বর দিয়ে গোটা বাংলার নজর কেড়েছেন বাঁকুড়ার মেয়ে আরাত্রিকা সিনহা। যদিও কিছুটা দুঃখজনকভাবে বিজেতার শিরোপা হাতছাড়া হয় তাঁর, কিন্তু শোটির মঞ্চেই তাঁর ঝুলিতে পড়েছিল কালিকাপ্রসাদ সম্মান, যা তাকে বাংলার মিউজিক প্রেমীদের মধ্যে আরও বেশি পরিচিত করে তুলেছে। সেই সঙ্গে তিনি পেয়েছেন ‘খুদে কমরেড’ তকমা, যা তার কণ্ঠের অনন্যতা ও জনপ্রিয়তাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। তবে, প্রথম হওয়ার সুযোগ না পেলেও, তার প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিতে কোনও কমতি হয়নি।
প্রসঙ্গত ‘সারেগামাপা’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে শেষ হতেই যেন আরাত্রিকার জন্য নতুন একটা যুগের শুরু হয়েছে। সবার মাঝে তাঁর সুরেলা কণ্ঠের প্রশংসা সোনালী ফল নিয়ে এসেছে। আরাত্রিকা এখন সরাসরি প্লেব্যাক গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর অনুরাগীরা দীর্ঘদিন ধরে এই খবরের অপেক্ষায় ছিলেন এবং সেই সুখবরটি এসে পৌঁছানোর পর তাঁরা আনন্দে ভাসছেন। নিজেই নিজের সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে এই সংবাদটি জানিয়েছেন আরাত্রিকা। রেকর্ডিং স্টুডিওতে গান গাওয়ার মুহূর্তের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “জীবনে প্রথম কোনও সিনেমায় গান গাইবার সুযোগ এত তাড়াতাড়ি আসবে, ভাবিনি। ধন্যবাদ শ্যামল জেঠু।”
এখনো পর্যন্ত কোন ছবিতে তাঁর গাওয়া গান শোনা যাবে, তা জানা যায়নি। তবে, এই নতুন কাজের খবরে তাঁর ভক্তরা উচ্ছ্বসিত। তার নতুন প্লেব্যাক অভিষেক বাংলার সঙ্গীত জগতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে, যা সঙ্গীত প্রেমীদের মধ্যে সাড়া ফেলবে। নেটিজেনরা শুভেচ্ছা জানিয়ে আরাত্রিকার জন্য আরও বড় সাফল্যের আশা করছেন। এমনকি তাঁর অনুরাগীরা বিশ্বাস করেন, খুব শিগগিরই তিনি তার কণ্ঠের মাধ্যমে আরও অনেক বড় কাজের অংশীদার হবেন। আরাত্রিকার এই নতুন যাত্রা তার কণ্ঠের প্রশংসা এবং সঙ্গীত জগতের আরও গভীরে তার প্রভাব প্রতিষ্ঠা করার একটি অসাধারণ সুযোগ। এক কথায়, ‘সারেগামাপা’-র মঞ্চ থেকে শুরু হয়ে এখন সিনেমার গানে তার রঙিন যাত্রা শুরু হলো—এটি সত্যিই বাংলা সঙ্গীত জগতের জন্য এক নতুন অধ্যায়!