দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর সরকার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন মহিলাদের মাসিক ২৫০০ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে ‘মহিলা সমৃদ্ধি যোজনা’। এটি দিল্লির ক্ষমতাসীন বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মহিলাদের জন্য এই ভাতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এবং তা এখন বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
এদিন রেখা গুপ্ত জানান, "আজ নারী দিবস। আমাদের মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে মহিলাদের ২৫০০ টাকা ভাতা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা শুরু হবে। এই ব্যয় নির্বাহ করতে ৫১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।" এছাড়া, খুব শিগগিরই নাম নথিভুক্তকরণের কাজ শুরু হবে বলেও তিনি জানান। এই প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে, দিল্লির নির্বাচনে আম আদমি পার্টি (আপ) এবং কংগ্রেসও মহিলাদের জন্য মাসিক ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আপ সরকার "মহিলা সম্মান যোজনা" নামে ঘোষণা করেছিল, যেখানে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত মহিলাকে মাসে ১,০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। নির্বাচন জয়ী হলে, কেজরিওয়াল সরকার মহিলাদের মাসিক ভাতা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অপরদিকে, কংগ্রেস তাদের "পেয়ারি দিদি" যোজনায় ২৫০০ টাকা মাসিক ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।
মধ্যরাতে এইমসে ভর্তি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়
প্রসঙ্গত, এমনকি বিজেপিও দিল্লি নির্বাচনে মহিলাদের মাসিক ২৫০০ টাকা ভাতা দেওয়ার কথা বলেছিল, পাশাপাশি বিনামূল্যে এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভের পর, ২০২৩ সালের নারী দিবসে দলের পক্ষ থেকে এই বড় ঘোষণা করা হলো। বিজেপি নেতাদের মতে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মতো এই প্রকল্পও মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ২০২১ সালে চালু হয়, যেখানে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি/জাতির মহিলাদের ১,০০০ টাকা দেওয়া হত। পরে এই অঙ্ক আরও বাড়ানো হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পের আদলে মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড সহ একাধিক রাজ্যও একই ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এখন, দিল্লির নতুন উদ্যোগও অনেকাংশে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অনুকরণ বলেই মনে হচ্ছে। এতে মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার লক্ষ্য দেখা যাচ্ছে, যা রাজনৈতিক মহলে ইতিবাচক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।