গত বৃহস্পতিবার, কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক নতুন অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় কারচুপি করে বিজেপি রাজ্যটির দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একাধিক রাজ্যের ভোটারদের নাম পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় একই এপিক (EPIC) নম্বরে যুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থান, বিহারের মত রাজ্যের লোকদের নামও রয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোটের সময় এই ভোটারদের রেলে করে পশ্চিমবঙ্গ আনা হতে পারে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
উলেখ্য, মমতার এই অভিযোগের পর, নির্বাচন কমিশন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কমিশনের মতে, দুটি আলাদা রাজ্যের ভোটারদের একেবারে একই এপিক নম্বর থাকার মানে এই নয় যে তারা ভুয়ো ভোটার। নির্বাচন কমিশন জানায়, একই নম্বরে ভোটার থাকলেও, তাদের অন্যান্য তথ্য যেমন বিধানসভা কেন্দ্র, পোলিং বুথ ইত্যাদি আলাদা থাকে। কমিশনের মতে, এটি অতীতে ভোটার কার্ড তৈরি এবং বিতরণের সময়কালীন একটি বিষয় এবং স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু রাজ্যে এই ধরনের সিস্টেম ব্যবহৃত হয়েছিল। এছাড়া, কমিশন আরও জানায়, যে সমস্ত ভোটারের এপিক নম্বর এক হলেও তাদের মধ্যে কোনো বিভ্রান্তি না ঘটুক, তাই কেন্দ্রীয় পোর্টালে তাদের ইউনিক এপিক নম্বর আপডেট করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কমিশন নিশ্চিত করতে চায় যে, ভোটাররা শুধুমাত্র তাদের নিজ রাজ্যেই ভোট দিতে পারবেন এবং অন্য কোথাও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে না। এবার, এসব বক্তব্যের পর, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয় যে, যে কোনো ধরনের অপপ্রচার বা ভুল ধারণার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সজাগ রয়েছে এবং সকল ভোটারের সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছে।
সেমিফাইনাল স্পষ্ট, ভারত কোথায় খেলবে তা নির্ভর করছে রবিবারের ম্যাচে
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ এবং নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা থেকে স্পষ্ট, বাংলায় ভোট কারচুপির সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে তার আক্রমণ আরও তীব্র করেছেন, এবং নির্বাচন কমিশনও তাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিস্কার করার চেষ্টা করেছে। এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হলো, ভোট কারচুপির ব্যাপারে যে তর্ক চলছে, তা কি প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক চাপের অংশ, না কি এতে কিছু বাস্তবতা লুকানো আছে? সময়ই তা পরিষ্কার করবে।