বাংলাদেশে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুরু হচ্ছে প্রায় ৪০ দিনের দীর্ঘ ছুটি। এই ছুটি পবিত্র রমজান, ঈদ-উল-ফিতর, স্বাধীনতা দিবস, দোলযাত্রা, শবে কদর ও জুমাতুল বিদার মতো গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলোর কারণে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি শুরু হবে ২ মার্চ থেকে এবং শেষ হবে ৮ এপ্রিল। রমজান মাসের শুরু ১ বা ২ মার্চ থেকে হতে পারে। তবে এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে অন্য উৎসবগুলোর ছুটি, যার কারণে প্রায় ৪০ দিনের ছুটি হচ্ছে দেশের সব স্তরের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মহম্মদ ইউনুস ফারুকী জানিয়েছেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার ক্লাসের শেষ দিন হবে এবং এর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুক্র ও শনিবারের ছুটি থাকার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। এই ছুটি পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর ছাড়াও আরও কিছু উৎসবের জন্য, যেমন: দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, শবে কদর, এবং জুমাতুল বিদা।
সাত সকালে কেঁপে উঠল মহানগর! উথাল-পাথাল বঙ্গোপসাগর
এছাড়াও ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা কেন্দ্র থাকবে, সেগুলোর ছুটিও থাকবে টানা ২ মাস ১০ দিন। অর্থাৎ, এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এই ছুটি ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা থাকবে, যার মানে প্রায় ৭০ দিনের ছুটি হবে। এবারের ছুটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক বিরাট পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যেহেতু সারা দেশে লম্বা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের জন্যও সময়টা হতে যাচ্ছে বিশ্রামের। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকলেও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার হবে, সেগুলোর জন্য সাধারণ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, যা প্রায় ২ মাস ১০ দিন সময়কালের জন্য। এভাবে দীর্ঘ ছুটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ সময় হতে যাচ্ছে, যেখানে তারা তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসবগুলো উপভোগ করতে পারবেন। তবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায়, কিছু এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কার্যক্রমে অসুবিধা হতে পারে।