সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্র ‘ছাবা’, যেখানে অভিনয় করেছেন ভিকি কৌশল এবং রশ্মিকা মন্দানা। শিবাজি সাওয়ান্তের লেখা মরাঠি উপন্যাস ‘ছাবা’ অবলম্বনে নির্মিত এই ছবি ছত্রপতি শিবাজির পুত্র সম্ভাজির জীবনকাহিনি নিয়ে। যেখানে খলনায়ক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবকে, এবং তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে সম্ভাজির বিশ্বস্ত মিত্র গণোজি ও কানহোজি শির্ক।
বক্স অফিসে অশ্বমেধের ঘোড়া ছাবা! পেরলো ১৪০ কোটি
এই চলচ্চিত্র মুক্তির পর বেশ কিছু বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমত, ছবিটি মুক্তির পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছবিটির প্রশংসা করেন, তবে গণোজি ও কনহোজি শির্কের বংশধরেরা ছবির চিত্রায়ণে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ছবিতে তাঁদের পূর্বপুরুষদের চিত্রায়ণ যথাযথ হয়নি এবং এটি তাঁদের ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করছে। লক্ষ্মীকান্ত রাজে শির্ক, গণোজি এবং কানহোজি শির্কের ১৩তম বংশধর, ছবির নির্মাতাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর মতে, ছবির চিত্রায়ণ ঐতিহাসিক তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং এটি তাঁর পরিবারের সম্মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তিনি নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করার হুমকি দিয়েছেন।
এদিকে, ছবির পরিচালক লক্ষ্মণ উতেকর বিষয়টি নিয়ে গণোজি ও কানহোজি শির্কের বংশধর ভূষণ শির্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ছবিতে শুধুমাত্র গণোজি এবং কানহোজির নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের পদবি বা গ্রামের নামের উল্লেখ করা হয়নি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ছবির উদ্দেশ্য ছিল না কাউকে আঘাত দেওয়া এবং এটি যদি কারও অনুভূতিতে আঘাত করে থাকে, তবে তিনি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছেন। এই পরিস্থিতি ছবির সমালোচনা ও প্রশংসার মধ্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আশা করা যায়, বিতর্কের এই মেঘ কেটে যাবে এবং চলচ্চিত্রের ইতিহাস রচনার চেষ্টায় সংশ্লিষ্ট সবাই একে অপরকে বুঝতে সক্ষম হবেন।