দু'মাসের যুদ্ধবিরতির পর ফের গাজায় তীব্র সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে, যখন ইজরায়েলি সেনারা গাজার বিভিন্ন এলাকায় বোমা হামলা শুরু করেছে। অন্যদিকে, হামাসও ইজরায়েলি প্রধান শহরগুলোতে রকেট হামলা চালাচ্ছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্তত ১০টি রকেট ছোড়া হয়েছে, তবে বেশিরভাগ রকেট প্রতিহত করা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রবিবারের হামলায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে, এবং এ সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে পৌঁছেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উলেখ্য, ইজরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহর আশকেলনে হামাসের রকেট আছড়ে পড়েছে, যার ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসাবশেষ এবং ভাঙা গাড়ির জানালা ছড়িয়ে পড়েছে। তেল আভিভের আপৎকালীন বিভাগ জানিয়েছে, রকেট হামলায় এক ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলার স্থানগুলোর পরিদর্শন চলছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।প্যালেস্টাইনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ইজরায়েলের হামলায় গাজায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। গত কয়েকদিনে গাজার বিভিন্ন শহরে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেখানকার বাসিন্দারা খুবই উদ্বিগ্ন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের
এদিকে, ইজরায়েলি সেনা গাজার মধ্যবর্তী এলাকা দায়ের এল-বালা শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে, যেখানে গাজার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে অন্তত দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালে সম্প্রতি এক সাংবাদিকও হামলায় নিহত হয়েছেন। সেই হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা গুরুতর আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। এই পরিস্থিতি শুধু যুদ্ধের ক্ষতিই নয়, মানবিক সংকটের পরিমাণও বাড়াচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বারবার মানবিক সাহায্যের দাবি জানানো হলেও ইজরায়েলি আক্রমণ অব্যাহত থাকায় সেখানে ত্রাণ সহায়তার প্রক্রিয়া আটকে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ফলাফল এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত, এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সামরিক সংঘর্ষের কারণে বেসামরিক জনগণ এক ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে।