Flash News
  1. ভারতের উপর থেকে ট্রাম্প-ট্যারিফ প্রত্যাহারের পথে আমেরিকা
Monday, September 22, 2025

ঢাকা বারের ৮৪ সিনিয়র আইনজীবীকে জেলে পাঠানোর ঘটনা

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Pravati Sangbad Digital Desk :

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত, ২০২৫ সালের জুলাই-অগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থক বলে পরিচিত ঢাকা বারের ৮৪ জন সিনিয়র আইনজীবীকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। রবিবার, মামলার ৯৩ জন ‘আসামি’ একযোগে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালেও অন্তর্বর্তী সরকার জামিনের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করে, যার ফলে ৮৪ জন আইনজীবীর জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যায়। একযোগে এত আইনজীবীকে জেলে পাঠানোর ঘটনা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, এবং এটি অনেকেই 'বেনজির' পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করছেন।

উলেখ্য,  প্রবীণ আইনজীবী জেড আই খান পান্না এই ঘটনাকে নজীরবিহীন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁরা সবাই ঢাকা বারের প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী এবং বারের প্রাক্তন নির্বাচিত নেতৃত্ব। একসাথে প্রায় একশো আইনজীবীকে জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত এর আগে আমরা কখনও শুনিনি।” তাঁর মতে, এমন পদক্ষেপ আদালতের কার্যক্রম ও বিশ্বাসযোগ্যতার উপর প্রশ্ন তুলতে পারে। ঢাকা বারের গত ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনের পর, অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থক এক আইনজীবী ঢাকা বারের কয়েকজন সিনিয়র সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ, ৪ অগস্ট আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের উপর হামলা, চেম্বার ভাঙচুর ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, যেটি পরে আওয়ামী সমর্থক ১৪৪ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে ৬ ফেব্রুয়ারি সিএমএম আদালতে মামলা করা হয়। অভিযুক্ত আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁদের মতে, এই মামলা করা হয়েছে যাতে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা বারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারে এবং তাঁদের আইনগত সহযোগিতা থেকে বিরত রাখা যায়। এর মাধ্যমে সরকার এই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে গঠনমূলক অভিযোগ এনে তাদের দমন করতে চেয়েছে।


রবিবার সকালে, ৯৩ জন আইনজীবী একযোগে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। আসামীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, তাঁরা সবাই প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী এবং জামিন দিলে তারা পলাতক হবেন না। তবে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করার ফলে মাত্র ৯ জন মহিলা আইনজীবী জামিন পেয়েছেন, বাকি সবাইকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন একসাথে এতজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হলো, এবং এটি কি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ নয়? এ ঘটনা নিয়ে দেশের আইনজীবী ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিভক্ত প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কিছু আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা এটিকে সরকারের পক্ষ থেকে একটি অপপ্রয়োগ মনে করছেন, যা আইনজীবীদের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এই পদক্ষেপ আইনসম্মত এবং জাতির জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। এদিকে, ৮৪ আইনজীবীকে কেরানিগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর পর, অনেকেই এই ঘটনাকে দেশের আইনজীবী সমাজের জন্য একটি অন্ধকার দিন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের মতে, দেশের বিচারব্যবস্থার ন্যায়বিচারের প্রতি বিশ্বাস অটুট রাখার জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ পরিহার করা উচিত।

ইউকে ও ইজরায়েলের মধ্যে নতুন কূটনৈতিক উত্তেজনা: ২ জন মহিলা সাংসদকে আটক ইসরায়েলের

এখন, দেখা যাচ্ছে, এই মামলার পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকার আদালতগুলোর ওপর আরও চাপ পড়বে। আইনজীবীদের মুক্তি, তাদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত এবং রাজনৈতিক প্রভাবগুলির সমন্বয়ে এই ঘটনা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। ঢাকা বারের ৮৪ সিনিয়র আইনজীবীকে জেলে পাঠানোর ঘটনা রাজনৈতিক ও আইনি পরিপ্রেক্ষিতে গভীর প্রশ্ন তুলছে। এটি দেশের আইনব্যবস্থা এবং বিচারপতির স্বাধীনতার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনাগুলি দেশের রাজনৈতিক ও আইনগত পরিবেশে কী প্রভাব ফেলবে, তা দেখতে হবে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক
Related News