আজকের আইপিএল ২০২৫-এর ১২তম ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস এক উত্তেজনায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১২.৫ ওভারে ১২১ রান তাড়া করে জয়ী হয়েছে। মুম্বাইয়ের বোলিং আক্রমণ ছিল এক কথায় দুর্দান্ত, যেখানে অশ্বিনী কুমারই সবচেয়ে আলোচিত নাম। তার অসাধারণ বোলিংয়ে চার উইকেট তুলে নিয়ে কলকাতাকে ১১৬ রানে সীমাবদ্ধ রাখেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারের মধ্যে ১১৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। তবে, এই রান তাড়া করতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকেনি। মাত্র ১২.৫ ওভারে ১২১ রান তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে তারা।
প্রসঙ্গত, টসে জিতে প্রথমে বোলিং করতে নেমে মুম্বাইয়ের পেস আক্রমণ শুরু থেকেই ছিল তীব্র। প্রথম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্ট সুনীল নারিনকে বোল্ড করে বড় ধাক্কা দেন। এরপর দীপক চাহার ৩ বলে ১ রান দিয়ে কুইন্টন ডি কককে ফেরান। ৭ বলে ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান কলকাতার অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। কলকাতার ব্যাটিং লাইনআপ পড়ে গিয়েছিল একের পর এক উইকেট হারিয়ে। মাত্র ২৬ রান করে রঘুবংশী সর্বাধিক রান করেন, তবে মুম্বাইয়ের বোলিং তাণ্ডবে কলকাতা ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে আসে। মনীশ পান্ডেকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে সুযোগ দেওয়া হলেও, তিনি ১৯ রানে আউট হয়ে যান। রিংকু সিং ১৭ রান করে দলের কিছুটা সম্মান রক্ষা করেন, কিন্তু এক পর্যায়ে ১১৬ রান সংগ্রহ করে কলকাতা। মুম্বাইয়ের বোলিং আক্রমণে সেরা পারফরম্যান্স ছিল অশ্বিনী কুমারের, যিনি ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। দীপক চাহারও ২ উইকেট শিকার করেন। প্রথম ইনিংসে কঠিন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মুম্বাইয়ের ওপেনিং ব্যাটারদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। রোহিত শর্মা ১২ বলে ১৩ রান করে আন্দ্রে রাসেলের হাতে আউট হন। উইল জ্যাকস ১৭ বলে ১৬ রান করেন এবং রাসেলের শিকার হন। তবে, মুম্বাইয়ের জন্য একটি আশার আলো ছিলেন রায়ান রিকেলটন, যিনি আজ দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৪১ বলে ৬২ রান সংগ্রহ করেন। তার এই ইনিংসে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সমাহার ছিল। এছাড়া, সূর্যকুমার যাদবও ৯ বলে ২৭ রান করেন। তার মধ্যে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল। এই দৃঢ় ইনিংসগুলির সাহায্যে মুম্বাই ১২.৫ ওভারে লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়।
ঝাড়খণ্ডে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, মৃত ২
উলেখ্য, এ ম্যাচের জয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই মৌসুমে প্রথম জয় এবং এই জয় তাদের পয়েন্ট তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে তুলে দিয়েছে। অন্যদিকে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য এটি ছিল একটি হতাশাজনক পরাজয়, যা তাদের তালিকার একদম নিচে নামিয়ে দিয়েছে। এমন দুর্দান্ত বোলিং এবং বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখে মুম্বাইয়ের সমর্থকরা আনন্দিত। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাদের পরবর্তী ম্যাচে আরও শক্তিশালী কৌশল নিয়ে মাঠে নামবে, আর কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য এ পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্সের আশা করা যাচ্ছে।