ডিজিটাল অ্য়ারেস্টের নামে এক নতুন ধরনের প্রতারণা চক্রের খবর সামনে এসেছে, যেখানে বোকা বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। সম্প্রতি কলকাতায় লুকিয়ে থাকা ডিজিটাল অ্য়ারেস্ট চক্রের পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই সাইবার সেল টিম। স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় সেক্সপিয়র সরণীর একটি অফিসে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ডিজিটাল অ্য়ারেস্টের মূল চরিত্র, সৌরীশ নাগকে।
প্রসঙ্গত, ধৃত সৌরীশ নাগ (৪১) মুম্বইয়ের একটি ডিজিটাল অ্যারেস্ট কাণ্ডে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১.৪ কোটি টাকার প্রতারণা করার। তবে, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুম্বইয়ের দক্ষিণ অঞ্চলে সম্প্রতি আরও বড় এক ডিজিটাল অ্য়ারেস্ট চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল, যার পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা। মুম্বই সাইবার সেল টিম এই চক্রের অপর অভিযুক্ত বাপী দাসকেও বাংলা থেকে গ্রেফতার করেছে। বাপী দাসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ মুম্বইয়ের ৮৬ বছর বয়সি এক মহিলার সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে। এই প্রতারণায় ওই মহিলার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, মহারাষ্ট্র, অসম, বাংলা সহ আরও কয়েকটি রাজ্যে এই আর্থিক প্রতারণার এক বিশাল দুষ্টচক্র কাজ করছে। এই প্রতারণা চক্রটি কমপক্ষে ১৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেছিল। বাপী দাসের অ্যাকাউন্টে ৩৮ লাখ টাকা জমা হয়েছিল, আর সৌরীশ নাগের অ্যাকাউন্টে ১.৪ কোটি টাকার সমষ্টি পাওয়া গেছে। সাইবার সেল সূত্রে জানা গেছে, এই চক্রের সদস্যরা একাধিক জায়গায় বসবাস করতেন এবং বিভিন্ন রকমের ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করত।
রেড রোডে ইদের নামাজে মমতা ও অভিষেকের উপস্থিতি
উলেখ্য, পুলিশের একটি বিশেষ টিম নদিয়ার রানাঘাটে অভিযান চালিয়েছিল। সেখানে বাপী দাসের সন্ধান পাওয়া যায়, যাকে পরে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযানের মাধ্যমে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে, যা পুরো চক্রের কার্যকলাপের প্রকৃত চিত্র উন্মোচন করতে সাহায্য করবে। ডিজিটাল অ্য়ারেস্ট চক্রের সাফল্য এবং এই ধরনের প্রতারণার ঘটনায় সাধারণ মানুষকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। বিশেষত যারা অনলাইনে আর্থিক লেনদেন করেন, তাদের জন্য এই ধরনের প্রতারণা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। সাইবার নিরাপত্তার বিষয়েও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এভাবেই একটি ডিজিটাল প্রতারণা চক্রের সুরাহা হচ্ছে, তবে তদন্ত ও অভিযান আরও অব্যাহত থাকবে।