আগামী ৬ এপ্রিল কলকাতা ইডেন গার্ডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) ও লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG) মুখোমুখি হবে। তবে, বিশেষ একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে—এই দিনই পালিত হবে **রামনবমী**, যা কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল এবং জমায়েতের কারণে শহরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রামনবমী উপলক্ষে মিছিল এবং ধর্মীয় উদযাপনের কারণে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে, যা আইপিএল ম্যাচের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সিএবি (কলকাতা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন)-র সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে এই ম্যাচ আয়োজন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, "পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। ৬৫ হাজার জন দর্শকের ব্যবস্থাপনা করতে হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন। গতবারও একটি ম্যাচের সূচি পরিবর্তন করতে হয়েছিল নিরাপত্তার কারণে।" তিনি আরও যোগ করেন, "যদি পুলিশি নিরাপত্তা না থাকে, তবে ম্যাচ আয়োজন করা খুবই কঠিন হবে।" কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে রামনবমী উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু মিছিল এবং জমায়েত হতে পারে, যা পরিস্থিতি জটিল করতে পারে। এর ফলে ম্যাচের নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা পুলিশ অতীতের অশান্ত পরিস্থিতির কথা স্মরণ করে, এবারের ম্যাচের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করছে। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে ফাঁকা মাঠে ম্যাচ আয়োজনের বিষয়টিও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। **আইপিএল**-এর সম্প্রচারকারী সংস্থা এর বিরোধিতা করতে পারে, কারণ এই ধরনের পরিস্থিতি টেলিভিশন সম্প্রচারে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামের ছবি খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও ইডেন গার্ডেনে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফাঁকা মাঠে খেলা হয়েছে, আইপিএল-এর ক্ষেত্রে সেরকম পরিস্থিতি সম্ভবত থাকবে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি সুনীতা উইলিয়ামসকে
আইপিএল ২০২৫-এ প্রথম ম্যাচ হবে **আরসিবি (রॉयাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর)** এবং **কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)**-এর মধ্যে ২২ মার্চ। তবে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না থাকে, তাহলে ৬ এপ্রিলের ম্যাচটি নিয়ে আরও জটিলতা দেখা দিতে পারে। বর্তমানে **বিসিসিআই**-র পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। ফলে কলকাতার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে uncertainty এখনও জারি রয়েছে। পরিস্থিতি কোথায় গড়াবে এবং ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।