বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকা স্থায়ী উপাচার্যের পদে অবশেষে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক প্রবীর কুমার ঘোষ। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ই-মেল মারফত এই ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য পদটি শূন্য ছিল।
প্রসঙ্গত, নতুন উপাচার্য অধ্যাপক প্রবীর কুমার ঘোষ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন ছাত্র। তিনি ছত্তিসগঢ়ের রায়পুরে অবস্থিত ICAR-NIBSM-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর এবং উপাচার্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর প্রজ্ঞা এবং গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি এবং গুণগত মান বৃদ্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১৮ সালে অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মেয়াদকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা বিষয়ে বিতর্ক এবং চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল, বিশেষত শিক্ষাব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক কাঠামোর বিষয়ে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য পদ নিয়ে জল্পনা ছিল। বেশ কিছু সময় ধরে এই পদে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সঞ্জয়কুমার মল্লিক, পরবর্তীতে বিনয়কুমার সোরেনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
অবশেষে অপেক্ষার অবসান! ২৮৬দিন পর বাড়ি ফিরলেন সুনিতারা
উলেখ্য, বিশ্বভারতীর নতুন স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক প্রবীর কুমার ঘোষের নিয়োগের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধানের ৩(৬) ধারা অনুযায়ী, প্রবীর কুমার ঘোষকে স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মচারীরা আশাবাদী। বিশেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক মানোন্নয়ন নিয়ে নতুন উপাচার্য তাঁদের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।