গত নয়ের দশকের শুরুর দিকে বাংলা গানের জগতে এক নতুন আলোচিত নামের আবির্ভাব ঘটে—কবীর সুমন। একে একে তিনি বাংলা গানের ভুবনে এমন কিছু সৃষ্টি করলেন, যা বাংলা গানের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর গানের সুর, কবিতা, লিরিক এবং ছন্দের মিশেলে তিনি সৃষ্টি করেন এক নতুন ধারা। ১৯৯০ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’ বের হওয়ার পর, অল্প সময়েই শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে সমস্বরে ‘তোমাকে চাই’ গেয়েছেন কোটি শ্রোতা। আজও তার গানের প্রতি ভালোবাসা কমেনি।
কবীর সুমনের জীবনের এই যাত্রা পর্দায় ফুটিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিতের ‘জাতিস্মর’ ও ‘নাগরিক কবিয়াল’ সিনেমাগুলোর মাধ্যমে কবীর সুমনের সঙ্গীত এবং তার সৃষ্টির প্রতি এক গভীর ভালোবাসা এবং সম্মান প্রকাশিত হয়েছে। তাই, কবীর সুমনের বায়োপিক তৈরির পরিকল্পনা বহুদিন ধরেই সৃজিতের মনে ছিল। সম্প্রতি, সৃজিত মুখোপাধ্যায় ডট ইন-কে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবীর সুমনকে নিয়ে বায়োপিক তৈরির পরিকল্পনা করছেন। এই বায়োপিকের লক্ষ্য হল, সুমনের ‘তোমাকে চাই’ তৈরির পেছনের গল্প এবং সুমনামির জার্নি পর্দায় তুলে ধরা। সৃজিত এ বিষয়ে বলেন, "বায়োপিক মানে, হ্যাঁ এই ছবিকে বায়োপিক বলা যেতেই পারে। আমি আসলে পর্দায় দেখতে চাইছি, সুমনের ‘তোমাকে চাই’ তৈরির জার্নিটা।”
হোলবার্গ পুরস্কারে সম্মানিত গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক
উলেখ্য, কবীর সুমনের জীবন এবং সৃষ্টির নানা অজানা দিক পর্দায় তুলে ধরার জন্য সৃজিত খুবই আগ্রহী। এই ছবিতে সুরকারের দায়িত্বও নিজেই গ্রহণ করেছেন কবীর সুমন। তবে, সৃজিত জানিয়েছেন, ছবির মুখ্য চরিত্রে কাকে দেখা যাবে তা এখনও ঠিক হয়নি। চিত্রনাট্য এখনো ঘষামাজা চলছে। এই বায়োপিকের মাধ্যমে বাংলা সঙ্গীতের এক মাইলফলক সৃষ্টিকারী কবীর সুমনের জীবন এবং তার সৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি চমৎকার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। শিগগিরই ছবির অন্যান্য বিবরণ প্রকাশ পাবে, তবে এখন পর্যন্ত ছবির প্রাথমিক পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি বেশ জোরালোভাবে এগিয়ে চলছে। এটি নিশ্চিত যে, এই বায়োপিকের মাধ্যমে বাংলা সঙ্গীতের এক মহান পুরুষ কবীর সুমনকে নতুন প্রজন্মের দর্শকদের কাছে আরও নিবিড়ভাবে পরিচিত করে তোলা হবে।