২০২৫ সালের সোমবার, মার্কিন মুলুকের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই শপথ অনুষ্ঠানে গোটা বিশ্বের নানা দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতে বসে ছিলেন জয়শংকর, যা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। প্রশ্ন উঠছে, কেন এতখানি গুরুত্ব দেওয়া হল ভারতকে এবং কী হতে পারে এর পেছনে কূটনৈতিক কারণ?
রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ! কিভাবে আবেদন করবেন?
উলেখ্য, এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসন কেন ভারতকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “শত্রুর শত্রু বন্ধু” এই প্রাচীন কূটনৈতিক তত্ত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। বর্তমানে, চিনের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সম্পর্ক ক্রমশ উন্নত হচ্ছে, এবং ভারত ও চিনের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের টানাপোড়েনও সবারই জানা। একদিকে, ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী ট্রাম্প প্রশাসন, অন্যদিকে এশিয়া মহাদেশে ভারতের প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমেরিকার কাছে ভারত এখন শুধু একটি বৃহত্তম গঠনমূলক শক্তি নয়, বরং চীনের মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সঙ্গী। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের বিশেষ বন্ধুত্ব এবং মোদির দৃষ্টি আকর্ষণীয় কূটনীতি তাও এই সম্পর্কের উন্নয়নে সাহায্য করছে।" জয়শংকর স্পষ্টভাবে বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে গুরুত্ব দেওয়া একেবারেই স্বাভাবিক, কারণ ভারতের আন্তর্জাতিক ভূমিকা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।"
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতে ভারতের স্থান নয়, মার্কিন প্রশাসনের তরফ থেকে নতুন সরকারের প্রথম কূটনৈতিক বৈঠকের জন্যও এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কিন বিদেশ সচিব মারো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে জয়শংকর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "মার্কিন প্রশাসন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে।"এমনকি এই বৈঠক এবং ভারতের শপথ অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতে উপস্থিতি, আমেরিকার তরফ থেকে ভারতকে দেওয়া গুরুত্বের পরিপ্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন দিশা এবং শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। ভারতের প্রতি মার্কিন প্রশাসনের আগ্রহ এবং মোদি সরকারের কূটনৈতিক সফলতার মধ্যে আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ যুগের সূচনা হতে পারে।