বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান একদিকে যেখানে তার অভিনয় গুণে সুপরিচিত, সেখানে তার পারিবারিক ইতিহাসও বেশ আলোচিত। সাইফ আলি খান ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং পতৌদি রাজবংশের নবম নবাব মনসুর আলির পুত্র। তবে, আপনি জানেন কি যে সাইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি ১৯৭১ সালে তার নামের আগে থেকে ‘নবাব’ উপাধিটি বাদ দিয়েছিলেন? চলুন, জেনে আসি এর পিছনের কারণ।
সাইফ আলি খান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘‘১৯৭১ সালে ভারত সরকার সমস্ত রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করেছিল। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদি, যিনি ওই সময়ের এক উজ্জ্বল ক্রিকেটার, তার নামের আগে থেকে নবাব উপাধি বাদ দেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তার স্বাক্ষরে আগে ‘পতৌদি’ শব্দটি থাকত, এবং তাকে সারা জীবন এই নামেই পরিচিত করা হত। তবে ১৯৭১ সালে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তির পর, সেই উপাধিটি অবৈধ ঘোষণা হয়, এবং তারপর থেকেই তিনি তার নাম থেকে ‘নবাব’ শব্দটি বাদ দেন এবং শুধু ‘খান’ ব্যবহার করতে শুরু করেন।
মাত্র ৬৫ বছর বয়েসে প্রয়াত কিংবদন্তি গিটারিস্ট জন সাইকস
সাইফ আলি খান আরও বলেছিলেন, ‘‘আমি যখন পাঁচ বছর বয়সী ছিলাম, তখন একদিন আমি আমার বাবাকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘আপনার দুটি নাম কেন?’ তখন বাবা আমাকে জানিয়েছিলেন, ‘আমি পতৌদিতে জন্মগ্রহণ করেছিলাম, কিন্তু ১৯৭১ সালের পর এটি পরিবর্তন করে ‘খান’ করেছিলাম। তাই এখন আমার নাম এইভাবেই, এবং তোমার নামও খান হবে।’’ সাইফ আলি খান তার বাবার এই সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এটা আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য, কিন্তু নবাব হওয়ার কোনও আগ্রহ আমার নেই।’’ তার ভাষায়, ‘‘আমরা এইভাবেই বড় হয়েছি এবং এর মধ্যে কোনও গর্বের বিষয় নেই।’আজও, সাইফ আলি খান তার পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য এবং ভারতীয় রাজতন্ত্রের ইতিহাসকে মনে রেখেছেন, তবে তিনি একটি আধুনিক এবং সোজাসাপটা পরিচিতির প্রতি গুরুত্ব দেন।
প্রসঙ্গত, সাইফ আলি খানের পতৌদি প্রাসাদটি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরগাঁও জেলার অন্তর্গত এবং এর মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এই রাজকীয় প্রাসাদটি সাইফ আলি খান এবং তার পরিবারের ঐতিহ্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়, তবে তাদের জীবনের শৈলী এবং পরিচিতির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমান সময়ের সাথে বেশ মিল রেখেছে।