Flash News
  1. ভারতের উপর থেকে ট্রাম্প-ট্যারিফ প্রত্যাহারের পথে আমেরিকা
Monday, September 22, 2025

চিনে অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত বহু মানুষ

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Pravati Sangbad Digital Desk :

করোনাভাইরাস (COVID-19)-এর আক্রমণের পর থেকে বিশ্ব এক দীর্ঘ আতঙ্ক ও সংকটের মধ্যে দিয়ে গেছে। দুই বছর ধরে চলা এই মহামারী এখনো মানুষের মনে টাটকা। তবে, নতুন এক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আবারও চিনের জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এটি হলো হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (Human Metapneumovirus বা HMPV), যা বর্তমানে চিনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। চিনে এই ভাইরাসের কারণে উদ্বেগ বেড়ে গেছে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষদের মধ্যে। বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হচ্ছে যে, এই ভাইরাস ফুসফুসে আক্রমণ করে এবং একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। সাধারণত, এই ভাইরাসটি নিউমোনিয়া এবং হোয়াইট লাং (White Lung) সৃষ্টি করতে পারে, যা শরীরের ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে। তবে, সরকারি স্তরে এই ভাইরাস সম্পর্কে কিছু নিশ্চিত ঘোষণা করা হয়নি, যদিও সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা ধরনের পোস্ট ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে, যা এই ভাইরাসের দ্রুত বিস্তার এবং হাসপাতালগুলোতে অসহনীয় চাপের চিত্র তুলে ধরছে।

প্রসঙ্গত, অনেক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হচ্ছে যে, চিনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং এর ফলে হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক ভিড় জমেছে। হাসপাতালে যাদের ভর্তি করা হচ্ছে, তারা বেশিরভাগই শ্বাসকষ্ট, জ্বর এবং কাশি সমস্যায় ভুগছেন। এতে করে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। তবে, সরকারি সূত্রে এখনও এই ধরনের কোনও ঘোষণা পাওয়া যায়নি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ মূলত শীতের মৌসুমে বৃদ্ধি পায়, এবং এই সময় বিভিন্ন ধরনের শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

পৌষ মাসে শহরজুড়ে শীতের আমেজ! কত ডিগ্রিতে নামল তাপমাত্রা

 হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি বা শ্বাসের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে। শিশু ও বয়স্ক মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তারা এই ভাইরাসের দ্বারা দ্রুত আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক সময়, শিশুদের ক্ষেত্রে এটি সহজেই সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে নিউমোনিয়া বা আরও গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায় পরিণত হতে পারে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের ভিডিও এবং পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে হাসপাতালের ভিড়, চিকিৎসক-নার্সদের ব্যস্ততা এবং রোগীদের অসহায় অবস্থার চিত্র উঠে আসছে। এসব ভিডিও দেখলে সহজেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে। তবে, এসব ভিডিও আসল কি না, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, কারণ কিছু ভিডিও হয়তো অতিরঞ্জিত এবং পুরোনো হতে পারে।


উলেখ্য, বিগত কয়েক বছরে আমরা দেখেছি যে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক সময় অতিরঞ্জিত বা ভিত্তিহীন খবর ছড়িয়ে পড়ে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। তাই এই মুহূর্তে চিনে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে। যেহেতু সরকারি স্তরে এখনও এই ভাইরাসের বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা হয়নি, তাই এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে, সতর্ক থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। চিনের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমাদের উচিত সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে আতঙ্কিত না হয়ে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা। এই ভাইরাসের ব্যাপারে সরকারি ঘোষণা ও বিজ্ঞানীদের গবেষণার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, হাত ধোয়া এবং মুখাবরণ পরিধান করার মতো সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করলে অনেক ধরনের রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যখনই এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য বা সতর্কতা প্রদান করা হবে, তখন জনগণকে তা মেনে চলতে আহ্বান জানানো হবে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

মহামারি আন্তর্জাতিক
Related News