বেঙ্গল এসটিএফ (Special Task Force) এবার বড় সাফল্য পেয়েছে। জীবনতলা থানার ঈশ্বরীপুর এলাকা থেকে ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। এই অভিযানটি চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে, গোপন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। এসটিএফের সুনির্দিষ্ট তল্লাশির পর, বিপুল পরিমাণ বন্দুকের গুলি উদ্ধার হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সাফল্যটি বেঙ্গল এসটিএফ-এর জন্য একটি বড় ধাক্কা প্রতিরোধকারী অভিযান হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা একটি মাছের কারবারের আড়ালে অস্ত্র পাচারকারি চক্রের সাথে যুক্ত ছিল। রশিদ মোল্লা নামে একজন অভিযুক্তকে ঈশ্বরীপুর উজিরের মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রশিদ মোল্লা একটি মাছের ফিসারী চালাতেন, যেখানে তার ছেলেও আগে অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছিল। এছাড়া গ্রেফতার হওয়া অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন, হাসনাবাদের আশিক ইকবাল গাজি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাজি রশিদ মোল্লা, আবদুল সেলিম গাজি এবং শান্তিপুরের জয়ন্ত দত্ত।
হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি নকল করে সাইবার প্রতারণা
এসটিএফের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, কলকাতার বুকে অস্ত্র বিপণন দোকানের কর্মচারী জয়ন্ত দত্তের হাত দিয়েই অস্ত্রের সঙ্গেও জড়িত এই চক্রটি। সে অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রের দোকানগুলোতে বরাদ্দকৃত বুলেটের কিছু অংশ পাচার হয়ে যাচ্ছিল চোরাই পথে, যা বেআইনি অস্ত্র ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাচ্ছিল। এসটিএফ ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং আইনানুগ পদক্ষেপ নিচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে এবং এমনকি এসব বুলেট কোথায় এবং কিভাবে পাচার হচ্ছিল, তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
উলেখ্য, এদিকে, এই ধরনের চক্রের সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়া পুলিশ প্রশাসন এবং সিকিউরিটি এজেন্সির জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাইবার নিরাপত্তার পাশাপাশি, অস্ত্র পাচার এবং বেআইনি অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। পুলিশ এবং এসটিএফের একাধিক অভিযানে এ ধরনের অপরাধীরা প্রতিরোধ পাচ্ছে, কিন্তু আরও সচেতনতা এবং তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে। এটি একটি বড় ধরনের সাফল্য, যা প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পুলিশের কাজে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছে।