শুক্রবার গভীর রাতে প্রয়াগরাজ-মির্জাপুর হাইওয়েতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বোলেরো গাড়ির ১০ যাত্রী। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে যখন একটি বোলেরো গাড়ি এবং একটি বাস মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৯ জন যাত্রী। নিহতরা ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁরা সঙ্গম এলাকায় স্নান করতে যাচ্ছিলেন, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। অন্যদিকে, বাসটির যাত্রীরা মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার বাসিন্দা ছিলেন এবং তারা সঙ্গমে স্নান সেরে বারাণসী যাচ্ছিলেন।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তীর সুখী সংসারে নতুন অতিথির আগমন
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বোলেরো গাড়ি থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। আহতদের রামনগর সিএইচসিতে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তেজিত পরিস্থিতিতে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দুর্ঘটনার খবর গ্রহণ করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি জেলা প্রশাসনকে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। অপরদিকে, একই রাতে ফিরোজাবাদে একটি স্লিপার বাসে আগুন লেগে এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। ফিরোজাবাদের পাকওয়ালিয়া থানা এলাকার গৌড় বাভনান সড়কে দ্রুতগামী একটি গাড়ি পেছন থেকে ট্র্যাক্টর-ট্রলিকে ধাক্কা দেয়। এতে ৪ জন নিহত হন।
এছাড়া, ফিরোজাবাদে আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে এক স্লিপার বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। শনিবার ভোর ৫টার দিকে রাজস্থানের নাগৌরগামী বাসটিতে আগুন ধরে যায়। বাসে মোট ৫২ জন যাত্রী ছিলেন। আগুনে পুড়ে মারা যান পবন শর্মা (৩৪), নাগৌরের বাসিন্দা। বাকি সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ দুটি দুর্ঘটনা সত্যিই গোটা এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে যথাযথ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে।