আজ দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ৭০টি আসনে ৬৯৯ জন প্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে আজকের ভোটের মাধ্যমে। ভোটাররা সিদ্ধান্ত নেবেন, কি আপ তাদের শাসন অব্যাহত রাখতে পারবে, নাকি বিজেপি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ক্ষমতায় ফিরবে, অথবা কংগ্রেস চমক দেখাবে। দিল্লির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন ভোটারদের হাতে।
ফোন চুরি হলেও ফিরে পাবেন সহজে: দুটি অপশন চালু করলেই সুরক্ষিত থাকবে আপনার ডেটা!
ভোটগ্রহণ চলছে রাজধানী দিল্লির ১৩,৭৬৬টি ভোটকেন্দ্রে, প্রায় ১৪,০০০ বুথে। নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২২০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী, ৩৫,৬২৬ জন দিল্লি পুলিশ এবং ১৯,০০০ হোমগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সংবেদনশীল বুথগুলোতে, যেগুলোর সংখ্যা প্রায় ৩,০০০, এবং কিছু জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। বর্তমান বিধায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আপ টানা তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। তাদের মূল ভরসা হল শাসনকালের সফলতা এবং কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলো। অন্যদিকে, বিজেপি দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এবং দলের সভাপতি জেপি নড্ডা নেতৃত্বে আপের দুর্নীতি এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কংগ্রেসও রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বে বিজেপি ও আপের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক প্রচার চালিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের জন্য ৭৩৩টি কেন্দ্র বিশেষভাবে নির্ধারণ করেছে। এর পাশাপাশি, ভোটারদের সুবিধার্থে একটি ‘কিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (কিউএমএস) অ্যাপ চালু করা হয়েছে, যা রিয়েল-টাইমে ভোটকেন্দ্রগুলোর ভিড় সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করবে। হোম ভোটিং সুবিধার আওতায় থাকা ৭,৫৫৩ জন ভোটারের মধ্যে ৬,৯৮০ জন ইতোমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন। ভোটগ্রহণ সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, বুথের ভেতরে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, স্মার্টফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ। এছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও কর্মীদের জন্য সবেতন ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোটদানের হার কেমন হবে, তা নিয়ে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটগণনা নির্ধারণ করবে দিল্লির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।