আজ সকালে আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির কাছে এক মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় বুধবার, রোনাল্ড রেগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৫৩৪২-র সঙ্গে এক সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর বিমানটি পোটোম্যাক নদীতে ভেঙে পড়ে। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬০ জন যাত্রীসহ বিমানটি নদীতে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কারণ উদ্ধারকাজ এখনও চলমান। দুর্ঘটনার সময়ে বিমানের যাত্রীদের মধ্যে অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
বাচ্চার বাবা কে? জানার জন্য কাউকে জোর করে ডিএনএ টেস্ট করানো যায় না, বলল সুপ্রিম কোর্ট
সিএনএন সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর হেলিকপ্টারটি আকাশে আগুনের গোলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাতের আকাশে হঠাৎ এক বিশাল আগুনের গোলা দেখতে পান। এর পরেই সাইরেনের আওয়াজে দুর্ঘটনার ঘটনা নিশ্চিত হয়। এর পর কিছু সময়ের মধ্যেই, এক প্রত্যক্ষদর্শী জনৈক আরি স্কলম্যান বলেন, "আমি জর্জ ওয়াশিংটন হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিলাম এবং প্রায় ১২০ ফুট উপরে বিমানটি দেখতে পাচ্ছিলাম। সব কিছু ঠিক ছিল, তবে হঠাৎ বিমানটি থেকে আগুনের ফুলকি বের হতে থাকে। এরপরই সেটি বেঁকে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। সেই দৃশ্য খুব ভয়াবহ ছিল।" এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি শোকবার্তায় বলেন, “নিহতদের আত্মা শান্তি পাক এবং তাঁদের পরিবারকে শক্তি দান করুন।“
এদিকে, দুর্ঘটনাস্থলটি দ্রুত ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং উদ্ধারকার্য চলছে। প্রশাসন আশঙ্কা করছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে দুর্ঘটনার কিছু ভীতিকর ভিডিও, যা ইতিমধ্যেই লাখ লাখ মানুষ দেখেছেন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, এ ধরনের দুর্ঘটনা বিমানের নিরাপত্তা ও হেলিকপ্টার চলাচলের নিয়ম-নীতির প্রতি আরও বাড়তি নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা সমস্ত বিশ্বের মানুষের জন্য এক কঠিন মুহূর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন ডিসির কাছে এই ধরনের দুর্ঘটনা একেবারে বিরল, এবং এটি এ শহরের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য হতে পারে।