বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে চলমান পরিস্থিতি এখন সরকারের কাছে এক বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য, যেই ছাত্র আন্দোলনই তাদের ক্ষমতায় আসার ভিত্তি গড়েছিল, সেই আন্দোলনই এখন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব আন্দোলন অব্যাহত থাকায়, সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়ছে এবং তাতে ছাত্রদের দাবি পূরণের চাপ বাড়ছে।
ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডে ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেপ্তার
তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাতটি কলেজকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে। তবে এবার নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে তিতুমীর কলেজের ছাত্রদের পক্ষ থেকে। তারা দাবী করেছে, তিতুমীর কলেজকে দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হোক এবং এর জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়েছে। ছাত্ররা জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দাবি না মানলে তারা রেলপথ এবং সড়কপথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ছাত্রদের আন্দোলনের বিষয়ে তথ্য জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সময়সীমার মধ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে, তিতুমীর কলেজের ছাত্ররা তাদের আন্দোলনে অনড় রয়েছেন এবং তাদের দাবি পূরণের জন্য সরকারকে আরো সময় দেয়নি। তারা জানিয়েছে, তাদের দাবির মেনে নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রো-ভিসি এবং ভিসির পদত্যাগ সহ একাধিক দাবির উপর জোর দিয়েছেন।
উলেখ্য, এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এবং সরকার-ছাত্র সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ছাত্র আন্দোলন যদি আরও জোরালো হয়, তাহলে তা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকেও প্রভাবিত করতে পারে।