জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীমাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা স্টেশন থেকে শ্রীনগর স্টেশন পর্যন্ত, বিশ্বখ্যাত চেনাব রেল ব্রিজ এবং দেশের প্রথম কেবল-সেতু আঞ্জি খাড় পার করে সফলভাবে যাত্রা শুরু করেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম ট্রায়াল রান। এই ট্রেনটি শুধুমাত্র আধুনিক প্রযুক্তির উজ্জ্বল উদাহরণ নয়, বরং এটি জম্মু-কাশ্মীরের চ্যালেঞ্জিং পরিবেশেও যাত্রীদের নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
উলেখ্য, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রানটি সম্পন্ন হয়েছে চেনাব রেল ব্রিজের উপর দিয়ে, যা বর্তমানে বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু হিসেবে পরিচিত। চেনাব নদীর উপর ৩৩৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই সেতুটি, নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও, ট্রেনটি দেশের প্রথম কেবল-সেতু আঞ্জি খাড়ের উপর দিয়ে চলাচল করেছে, যা প্রকল্পটির প্রযুক্তিগত সাফল্যকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
সিপিএমের গ্রামীণ জনসমর্থন পুনরুদ্ধারে নতুন উদ্যোগ
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের প্রকৃতির চরম পরিবর্তনশীল আবহাওয়া সব ধরনের যানবাহনের জন্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কিংবা তুষারপাতের মতো কঠিন পরিস্থিতিতেও ট্রেনের যাত্রায় কোনো সমস্যা তৈরি না হয়। এর উন্নত হিট সিস্টেম, বায়ো টয়লেট এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক সুবিধা ট্রেনটির কার্যক্ষমতাকে নিশ্চিত করেছে। এমনকি বরফে ঢাকা পরিবেশেও ট্রেনের চলাচলে কোনো ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হবে না বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম ট্রায়াল রান শুরু হয় ৮:০০ AM-এ কাটরা স্টেশন থেকে, এবং প্রায় ৩ ঘণ্টা পর ১১:০০ AM-এ শ্রীনগর স্টেশন পৌঁছায়। একটানা ১৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এই সময়কাল নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে, যা ট্রেনটির দ্রুতগতি এবং দক্ষতার পরিচায়ক।
বর্তমানে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান সফলভাবে সম্পন্ন হলেও, এটি এখনও যাত্রীদের জন্য চালু হয়নি। তবে রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই এই ট্রেনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। তবে উদ্বোধনের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একবার যাত্রা শুরু হলে, এটি দেশের শীর্ষস্থানীয় আধুনিক রেল পরিবহণ ব্যবস্থার অংশ হয়ে উঠবে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সফল ট্রায়াল রান শুধু একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, এটি ভারতীয় রেলওয়ে ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই ট্রেনটি জম্মু-কাশ্মীরের মতো চ্যালেঞ্জিং এলাকায় চলতে সক্ষম, এটি দেশের উন্নত রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।