রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ অম্বানী আবারও এক নতুন ইনোভেশন নিয়ে হাজির। এবার তিনি নিয়ে এসেছেন জিয়ো কয়েন (Jio Coin), একটি ডিজিটাল কয়েন যা ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে নতুন একটি ঢেউ তৈরি করার সম্ভাবনা নিয়ে হাজির। ইতিমধ্যেই এই কয়েন পাওয়া যাচ্ছে জিয়ো প্ল্যাটফর্মে, কিন্তু এর আসল উদ্দেশ্য এবং ভবিষ্যত কী, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে।
কীভাবে কাজ করবে জিয়ো কয়েন?
জিয়ো কয়েন বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র একটি প্রচারমূলক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করছে, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা বিনামূল্যে কয়েন পেতে পারেন। তবে একটা প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে—এই কয়েন কী কাজে আসবে? বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি হতে পারে। তবে, এখনও পর্যন্ত রিলায়েন্সের তরফ থেকে অফিসিয়াল কোনো ঘোষণা আসেনি, তাই এটি শুধুমাত্র অনুমানই হতে পারে।
কলকাতা বইমেলায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বুক স্টল আবেদন খারিজ, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত
জিয়ো কয়েন কীভাবে সংগ্রহ করবেন?
গ্রাহকরা সহজেই জিয়োস্পিয়ার (JioSphere) অ্যাপ ডাউনলোড করে এই কয়েন সংগ্রহ করতে পারবেন। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর, সাইন আপ করতে হবে এবং মোবাইল নম্বর ও ওটিপি দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি হওয়ার পর, আপনি জিয়োস্পিয়ার ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারবেন। অ্যাপটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি পুরস্কার হিসেবে জিয়ো কয়েন অর্জন করবেন, যা সোজা আপনার অ্যাপের ওয়ালেটে জমা হবে। এখনও পর্যন্ত, রিলায়েন্স বা মুকেশ অম্বানী পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি কিছু জানানো হয়নি, তবে Jio Coin যে ভবিষ্যতে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে নতুন এক যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে, তা বেশ স্পষ্ট। Jio Coin অ্যাপের সেটিংসে একটি ‘Opt-in’ অপশন রয়েছে, যা নির্দেশ করছে যে শীঘ্রই এই কয়েনটি সম্পূর্ণ ক্রিপ্টোকারেন্সির ধারণার সাথে সংযুক্ত হতে পারে।তবে এই কয়েনের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা সময়ই বলে দেবে। যদি এটি সত্যিই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে নতুন কিছু নিয়ে আসে, তবে রিলায়েন্সের জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে।
অনেকেই ধারণা করছেন যে, জিয়ো কয়েন একদিন হয়তো রিলায়েন্সের এক নতুন অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করবে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে তার অংশগ্রহণ অম্বানীর বৃহৎ ব্যবসা সাম্রাজ্যের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। সম্ভবত, এটি কেবল ভারত নয়, বিশ্বব্যাপী তার বাজার বিস্তারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জিয়ো কয়েনের প্রবর্তন নতুন এবং উদ্ভাবনী একটি পদক্ষেপ হতে পারে, যা ভবিষ্যতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল অর্থনীতি সম্পর্কে নতুন ধারণা দিতে পারে। যতই সময় যাবে, আমরা বুঝতে পারব যে এই কয়েনের আসল উদ্দেশ্য কী এবং এটি কীভাবে রিলায়েন্সের ব্যবসায়িক দুনিয়ায় সাড়া ফেলতে পারে।