প্রথমবার সাংসদ হিসেবে লোকসভায় শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ লোকসভায় ওয়ানাড়ের সাংসদ হিসাবে শপথ নিলেন এবং সংসদীয় রাজনীতিতে তাঁর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশ করলেন । কেরলের ওয়েনাড থেকে নিজের দাদা রাহুল গান্ধি পরিবর্তে সা্ংসদ হলেন প্রিয়াঙ্কা৷ উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি থেকেও জয়ী হওয়ায় ওয়েনাডের সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল৷ এবার মা সোনিয়া গান্ধি এবং দাদা রাহুল গান্ধির সঙ্গে সংসদে দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কাকেও ৷
শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা
প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন থেকে দাদা রাহুল গান্ধির জয়ের ব্যবধানকেও ছাড়িয়ে চার লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে ওয়ানাড় লোকসভা আসনে জয়লাভ করেছেন। নিকটতম CPM প্রতিদ্বন্দ্বী সত্যান মোকেরিকে ৪ লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন, যা ২০২৪ সালের নির্বাচনের ব্যবধানের চেয়ে বেশি। জয়ের পরে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন যে, তিনি সংসদে জনগণের কণ্ঠস্বর হওয়ার জন্য তৈরি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'আপনারা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি নিশ্চিত করব যে ময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনারা এই জয়কে সত্যিই আপনাদের জয় বলে মনে করবেন। আপনারা যাকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নিয়েছেন সে যে আপনাদের আশা এবং স্বপ্ন বোঝে সেটাও বুঝবেন। আমি সংসদে আপনাদের কণ্ঠস্বর হওয়ার অপেক্ষায় আছি।'
উলেখ্য, ২০১৯ সালে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পূর্ব উত্তর প্রদেশের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। এক বছর পরে তাঁকে সমগ্র রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও তাঁর দল ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিল, তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্যে কংগ্রেস দলকে পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে রায়বরেলি থেকে প্রার্থী করা হবে বলে তীব্র জল্পনা ছিল। তবে সাংগঠনিক দায়িত্বের কারণে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করেন।