ঝাড়খণ্ডে ফের ক্ষমতা দখল করেছে জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডির জোট। দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন হেমন্ত সোরেন। আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৮শে নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ১৪তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন জেএমএম নেতা। এর আগে ঝাড়খণ্ডের কোনও মুখ্যমন্ত্রীই ভোটে জিতে পর পর দু’বার মসনদে বসেননি। নজির গড়েছেন হেমন্ত। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর গত শনিবার রাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় এবার সরকার গড়ছে ইন্ডিয়া শিবির। ৮১ আসনের বিধানসভায় ইন্ডিয়া শিবির পেয়েছে ৫৬টি আসন। এছারাও, শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রি মমতা এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী।
পশ্চিমবঙ্গের ৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে বিজেপি কমজরি
উলেখ্য, বৃহস্পতিবারই রাঁচি যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবারই রাচি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শই দুপুর সাড়ে তিনটে রাঁচিতে হবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হেমন্ত শোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী ঐদিনই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফের কলকাতায় ফিরে আসবেন।যদিও মমতার সঙ্গে হেমন্ত সোরেনের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্যে যেন কল্যাণের পরামর্শই গুরুত্ব পেল। জেএমএম মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে বলেন, ‘মানুষের রায়ে আমরা আনন্দিত। খোলা জায়গাতেই তাই শপথগ্রহণ হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো ঝাড়খণ্ডেও বিজেপি গোহারা করা সম্ভব হয়েছে। বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড দুই মুখ্যমন্ত্রীর সুসম্পর্ক সবাই জানেন। তাই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতাদিদির উপস্থিতি পৃথক মাত্রা যোগ করবে। তবে ইন্ডিয়া জোটের প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। দেশের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কাছে আমন্ত্রণ যাচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে চলতি বছর জানুয়ারিতে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন হেমন্ত সোরেন। পড়ে জামিনে মুক্তি পান তিনি। একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখানো হয়েছিলে এবার ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতার বদল হবে। তবে শনিবার ভোট গণনার দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঝাড়খণ্ডে যে দ্বিতীয় বারের জন্য হেমন্ত সোরেন সরকার গড়তে চলেছে, সেই চিত্র কার্যত পরিস্কার হয়ে যায়।