বাংলাদেশে ইউনুস সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সংখ্যালঘু তথা হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। খুন থেকে লুঠপাট, মন্দির-ঘরবাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটছে। বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। গতকাল, সোমবার বিকেলে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা তাঁকে গ্রেফতার করে।তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সহ বিদেশেও। রাস্তায় রাস্তায় ওঠে জয় শ্রীরাম ধ্বনি।
চিন্ময়কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার
এরই মধ্যে, চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন রাস্তায় নেমে আসে, এ সময় তাদের ওপর বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের হামলা হয়। হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতার নিয়ে ইউনুস সরকারকে হুংকার দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সুকান্ত মজুমদারও।গভীর রাতে হাজার হাজার হিন্দু জয়শ্রী রাম ও হর হর মহাদেব স্লোগানে মৌলভীবাজারে মশাল মিছিল বের করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে গ্রেফতারের পর বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রতিটি জেলায় শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করে।তবে, এই শান্তিপূর্ণ সভাগুলিতে চরমপন্থী দলগুলি নির্মমভাবে আক্রমণ চালায়। চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসলামিক দলগুলো। ঢাকার শাহবাগে শান্তিপূর্ণ মিটিং চলাকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কুশল বরণের ওপর হামলা হয়, এতে তিনি গুরুতর আহত হয়।
ইতিমধ্যে, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে চিন্ময় প্রভু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। শুক্রবারই তিনি রংপুরে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন। বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সেখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দুরা টার্গেটে রয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় হিন্দু ও তাদের ধর্মীয় স্থানগুলোকে টার্গেট করা হয়। বাংলাদেশের খুলনা, মেহেরপুরে অবস্থিত ইসকন মন্দিরকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এই হামলার বিষয়ে চিন্ময় প্রভু হিন্দু মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।