বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রয়দায়ের উপর নির্যাতন চলে। ইতিমধ্যে, আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসকনের সংগঠক ও বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ মুখপাত্র, চট্টগ্রামের পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে আজ ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করল পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। গত ৫ আগস্টের পর দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীর নামে কয়েক দফা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেসব সমাবেশ থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমান সরকারের উদ্দেশে নানা ধরনের হুমকি-ধামকিমূলক বক্তব্য রাখেন। এর আগে থেকে তিনি আলোচনায় থাকলেও গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশের বেশি আলোচনায় আসেন।
বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ডোনাল্ড ট্রাম্প
সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবিতে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। যাতে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি দায়ের করেন। মামলার পর রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার আসামির তালিকায় আছেন—ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সনাতন ধর্মের প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। সনাতনী সম্প্রদায়ের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু হিসেবে বিখ্যাত। তিনি পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষও।