প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর বাংলাদেশে ক্ষমতায় এলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০২৪ সালের বাংলাদেশ কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল সরকার বিরোধী । বিক্ষোভের একটি দিক , যার নেতৃত্বে ছিল মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা । প্রাথমিকভাবে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য কোটা-ভিত্তিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। এটি ছাত্র আন্দোলন হিসাবে শুরু হয়েছিল, পরবর্তীতে ছাত্র-জনতার নামে পরিচিত । জুলাইয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে বিক্ষোভ দমনে সরকারের সহিংস ভূমিকার কারণে কয়েকশ নিরস্ত্র নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন হাজারো ছাত্র-জনতা।
বাংলাদেশে গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এখন থেকে ১০০ দিন আগে যাত্রা শুরু করেছিল অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঠিক তিন দিনের মাথায় গঠিত সরকারের প্রতি তখন সাধারণ মানুষকে সমর্থন দেখা গিয়েছিল, তেমন প্রত্যাশাও ছিল বিপুল। সরকারের পক্ষ থেকেও আইনশৃঙ্খলা, দ্রব্যমূল্য, অর্থনীতি, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত পরিবর্তন আনাসহ নানান প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিন মাস পর এসে সরকারের সেসব প্রতিশ্রুতির মধ্যে অনেকগুলোতেই তেমন কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা হয়নি , যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।
বিগত ১০০ দিনে ইউনুস সরকারে উলেখযোগ্য পদক্ষেপ গুলি হল –
১। বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। কারণ সরকার নিত্য প্রয়োজনের দ্রব্যের দাম কমাতে পারেনি , উলটে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারত থেকে নিত্য প্রয়োজনের দ্রব্য আমদানি করা কমিয়ে দিয়েছে তার ফলে দ্রব্যের দাম বেরে গেছে।
২। ছাত্র-জনতার দ্বারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা অভিযোগ ওঠে। কোথাও বাড়িঘর, কোথাও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে, কোথাও উপাসনালয়ে হামলা-ভাঙচুর, আগুন লাগানো ইত্যাদি ঘটনা ঘটে।
৩। অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের সময়ের আটটি জাতীয় দিবস বাদ দিয়েছে। দিবসগুলো হলো— ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস ও ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস। এর আগে শোক দিবসের সরকারি ছুটিও বাতিল করে সরকার।
৪। স্বাধীনতার পর এই প্রথম পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে অস্ত্রবঝাই জাহাজ এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে।