রাজস্থানের অজমের নাসিরাবাদে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতি দেখে পুলিশের মাথায় হাত। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ স্কিমের বিষয়ে গ্রাহকদের জানাত একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া কাশিফ মির্জা। কম সময়ে বেশি হারে রিটার্ন পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়েই মূলত ফাঁদ পাতত ওই পড়ুয়া। অভিযুক্ত পুলিশের কাছে জানিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত মোট ৮০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে সে। আর বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য ২০ লক্ষ টাকা খরচও করেছে। উলেখ্য, আর সবথেকে অদ্ভুত বিষয় হল, তার কাছ থেকে একটি নোট গোনার যন্ত্র পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে তার একটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং ল্যাপটপও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত সোমবার তাকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছে অজমের সাইবার থানার পুলিশ। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, বিলাসবহুল গাড়িতে চেপে সে স্কুলে যাতায়াত করতো। এ নিয়ে তার বাবার কাছে অভিযোগও জানিয়েছিল শিক্ষকরা।
সাব-ইনস্পেক্টর মণীশ চরণ বলেন যে, চলতি বছরের ২১ শে মার্চ তারিখে ঊষা রাঠোর এবং মালা পাথরিয়া নাসিরাবাদ সিটি থানায় কাশিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এই দুই মহিলার কাছ থেকে প্রতারণা করে ৪২ লক্ষ টাকা লুঠ করেন, তাও মাত্র ৩ মাসের মধ্যে। মোট ৫টি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল ওই পড়ুয়া। তদন্তে জানা গিয়েছে যে, ২০২৩ সালে দুই বন্ধুর সঙ্গে মিলে লক্ষ্মী ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি সংস্থাও খুলেছিল কাশিফ। সেখানে মাত্র ৪০০০ টাকায় শুরু হয়েছিল এই স্কিম। অভিযুক্ত আশ্বাস দিয়েছিল যে, মাত্র ২৮ দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যাবে বিনিয়োগকারীদের টাকা। এমনকী ভরসা জিততে প্রথম দিকে তারা দ্বিগুণ টাকাই দিচ্ছিল। এমনকী, অভিযুক্তের দূর সম্পর্কের আত্মীয়রা এই প্রতারণার শিকারও হয়েছেন। পুলিশের মতে, অভিযুক্ত সব সময় ব্র্যান্ডেড জামাকাপড় পরতো এবং বিলাসবহুল দামি দামি হোটেলে রাতও কাটাতো। আর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই শিকার ধরতো সে।