জীবিত স্বামীকে আন্দোলনে 'নিহত' দেখিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গনহত্যার পর ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় এক যুবকের বিজয় মিছিলে আওয়ামী লীগের আল আমীন নামে ৩৪ বছরের যুবক নিহত হন বলে দাবি করেন তার স্ত্রী কুলসুম বেগম। গত সোমবার তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে তার স্বামী মৃত বলে অভিযোগ করে। প্রসঙ্গত, বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হোসেন বলেন - " আল আমীনকে উদ্ধার দেখিয়ে আজ তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি নিজে দাবি করছেন যে তার স্ত্রী তাকে মৃত দেখিয়ে মিথ্যা মামলাটি করেছিলেন। আমরা আল আমীনের স্ত্রী কুলসুমের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি, তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি"।
ইতিমধ্যে, আল-আমিনের পরিবার জানায়, আল-আমিন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার থানার পিরিজপুর এলাকায় বসবাস করে। তার স্ত্রীও সেখানেই থাকতেন তার সঙ্গে। গত ১৩ আগস্ট আল-আমিনের সঙ্গে ঝগড়া করে স্ত্রী মানিকগঞ্জ চলে যান। এরপর থেকে আল-আমিন মিয়ার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। পুলিশ সূত্রে জানা যায় , গত ২৪ অক্টোবর এক নারী তার স্বামীকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে ৮ নভেম্বর তা আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত করা হয়। তার স্ত্রী আদালতে এও জানান যে, গত ৫ই আগস্ট সকালে তার স্বামী মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকেল ৪টার দিকে তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বিজয় মিছিলে যোগ দেন। তবে পরাজয় মেনে না নিতে পেরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীরা গুলি চালায় এবং তার স্বামী নিহত হন। এছারাও তিনি জানান, অনেক খুঁজেও তিনি তার স্বামীকে পাননি ।