বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা রকমের কথোপকথন উঠছে । কোটা সংস্কারে জন্য তিনি বাংলাদেশ থেকে সুরক্ষিত বিমানের দ্বারা ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন । চলতি বছরের আগামী ১৯শে নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের সামনে শেখ হাসিনা-সহ আরও ৪৫ জন অভিযুক্তকে হাজির করার কথা আছে । অভিযুক্তদের সকলের বিরুদ্ধে হত্যা-সহ মানবতা অপরাধে যুক্ত থাকার কারনে অভিযোগ উঠছে বলে জানা গিয়েছে । ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাঁরা ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছেন শেখ হাসিনার নামে যাতে রেড কর্নার নোটিস জারি করতে , যাতে বিশ্বের যে কোনও দেশের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে পারে।
উলেখ্য, শেখ হাসিনা ভারতে আছেন বলে গত ৬ই অগাস্ট লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন –‘হাসিনা স্বল্পকালীন নোটিসে ভারতে এসেছে।’কিন্তু পরে জানা যায় বাংলাদেশর বিমান বাহিনী তাকে দিল্লির গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানবন্দরে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। ভারত সরকার সরকারিভাবে হাসিনার এদেশে অবস্থান করার কথা জানিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত প্রত্যর্পণ চুক্তিটি ২০১৬-তে সংশোধন করা হয়। তাতে একটি ধারায় বলা আছে চুক্তিতে যাই থাক রাজনৈতিক মামলার ক্ষেত্রে দু’দেশই নিজেদের অবস্থান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছে, হাসিনার পদত্যাগপত্রের ইস্যুটি সেক্ষেত্রে বড় হয়ে দেখা দিতে পারে। দেশ ত্যাগ করার আগে হাসিনা যে লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা করেননি তা নিয়ে আর জল্পণা নেই। হাসিনার বিরুদ্ধে প্রায় আড়াইশো মামলা হয়েছে। তারমধ্যে দু’শোর বেশি খুনের মামলায় তাঁকে ষড়যন্ত্রী বলা হয়েছে।