Flash News
    No Flash News Today..!!
Tuesday, November 11, 2025

এই দুই খাবার চিরকাল আপনার হৃদয়কে রেখে দেবে তরুণের মত তাজা!

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Pravati Sangbad Digital Desk:

শীতকালে গুড় এবং ছোলা খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারি হতে পারে। এই দুইটি খাবারের খাদ্য উপাদানগুলো স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার প্রতিকারও করতে পারে। চলুন, গুড় এবং ছোলার পুষ্টিগুণ এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

গুড়ঃ এটি একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি খাবার যা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ। গুড়ে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, দস্তা, তামা, ফোলিক অ্যাসিড এবং বি কমপ্লেক্স ভিটামিনের মতো উপাদান রয়েছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

ছোলাঃ হলো একটি শক্তিশালী প্রোটিন এবং ফাইবারের উৎস। ছোলায় রয়েছে আয়রন, ফোলেট, সোডিয়াম, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্যালরি, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরের জন্য উপকারী।

নিউইয়র্কের কুইন্সের বন্দুকধারীর হামলায় ১১ জন আহত

গুড় এবং ছোলা একসঙ্গে খেলে রক্তের অভাব দূর করতে সাহায্য করে। গুড়ে উপস্থিত আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়ক, এবং ছোলার ফোলেট রক্তসঞ্চালন এবং নতুন কোষের উৎপাদনে সহায়ক। এছারাও, গুড় এবং ছোলার সংমিশ্রণ পেশী এবং হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। গুড়ে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস, যা হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ, আর ছোলায় পুষ্টি উপাদানগুলো পেশী শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক।

উলেখ্য, গুড় এবং ছোলা খেলে ওজন কমানোর যাত্রা আরও সহজ হতে পারে। ছোলায় ফাইবারের উপস্থিতি পাচনতন্ত্রকে সচল রাখে এবং দ্রুত পেট ভরা অনুভূতি দেয়, যা অতিরিক্ত খাবার খাওয়া কমাতে সাহায্য করে। গুড়ের অল্প পরিমাণ শর্করা শরীরকে দ্রুত শক্তি প্রদান করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। গুড় এবং ছোলা খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সহায়ক। গুড়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ছোলার মিনারেলস শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই দুটি উপাদান শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।


গুড় এবং ছোলার সংমিশ্রণ ক্লান্তি এবং দুর্বলতার সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে। গুড়ে থাকা আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তের অভাব দূর করে শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে, যা ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। ছোলায় উপস্থিত ফাইবার এবং প্রোটিন শরীরকে শক্তি প্রদান করে এবং দুর্বলতা কমাতে সহায়ক। গুড় এবং ছোলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গুড়ে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে, যা পাচন প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক।

প্রসঙ্গত, গুড় এবং ছোলা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। গুড়ে থাকা পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম উন্নত করতে সাহায্য করে, এবং ছোলার উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। গুড় এবং ছোলা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। গুড়ে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ছোলায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষের পুনর্নির্মাণে সহায়ক, যা স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

গুড় এবং ছোলা খাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। গুড়ে থাকা ট্রাইপটোফ্যান এবং ছোলায় উপস্থিত অন্যান্য পুষ্টি উপাদান স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং মেজাজ উন্নত করে, যা মানসিক শান্তি বজায় রাখতে সহায়ক। শীতকালে গুড় এবং ছোলা খাওয়ার অভ্যাস আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এই দুটি খাদ্য উপাদান একসঙ্গে আপনার শরীরের নানা সমস্যার প্রতিকার করতে এবং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে সক্ষম। তাই, প্রতিদিন গুড় এবং ছোলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং উপভোগ করুন সুস্থ জীবন।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

লাইফস্টাইল
Related News