পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ এবং জাল পাসপোর্ট চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার পর কলকাতা পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে। পাসপোর্টের ক্ষেত্রে গাফিলতি রোধ করতে ও নতুন পদ্ধতি কার্যকর করতে শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া আরও কঠোর করা হচ্ছে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, পাসপোর্ট দেওয়ার আগে প্রতিটি থানার ওসিকে অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং ভিনরাজ্য থেকে অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়াও, জন্ম তারিখের তথ্য যাচাইয়ের পাশাপাশি, ঠিকানার প্রামাণিকতা যাচাইয়ের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত বক্সিং ডে টেস্টে ভারতকে ১৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানান, ‘ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি হওয়ার ঘটনা তদন্তের আওতায় এসেছে। পুলিশ ভেরিফিকেশনে গাফিলতির একাধিক উদাহরণ প্রকাশ্যে এসেছে। এই কারণেই পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার সময় পুলিশ কী ভূমিকা পালন করছে, তা খাতায় কলমে নথিবদ্ধ করতে হবে, যাতে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে না হয়।’ নতুন পদ্ধতির আওতায়, পাসপোর্ট আবেদনকারীর ঠিকানা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসিপি এবং ডিসিপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের। তাঁরা শুধু ঠিকানা নয়, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিও পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সমস্ত যাচাইকৃত তথ্য জাতীয় স্তরের পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
উলেখ্য, এদিকে, জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও এক অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা এলাকা থেকে মনোজ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন, যাকে জাল পাসপোর্ট চক্রের মূল অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মনোজ, বেহালার সখেরবাজারে একটি ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে পাসপোর্ট জালিয়াতির কারবার চালাতেন। তিনি মোটা টাকার বিনিময়ে জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করতেন। মনোজের এজেন্সিতে কাজ করতেন পাসপোর্ট কাণ্ডে এর আগে ধৃত দীপঙ্কর দাস, যিনি ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করতেন। মনোজের গ্রেফতারের পর গোয়েন্দারা তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন এবং জানতে চাইছেন, এই জাল পাসপোর্ট চক্র কতটা বিস্তৃত হয়েছে এবং কে কে এর সঙ্গে জড়িত। মনোজের গ্রেফতারির পর, জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে পৌঁছেছে।কলকাতা পুলিশ, জাল পাসপোর্ট তৈরির এই চক্র রোধ করতে এবং ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। পুলিশের এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং পদক্ষেপ অবিলম্বে ফলপ্রসূ হতে পারে, এমনটাই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।