বড়দিনের পরেই বিরাট ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষার স্তরেও চালু হতে চলেছে সেমেস্টার পদ্ধতি। এমনটাই ঘোষণা করেছেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার জন্য ছোট থেকেই তৈরি করা হবে, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি।
কিডনির সমস্যা ঠিক রাখতে গেলে জেনে নিন কয়েকটা টিপস
উলেখ্য, শুক্রবার তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ২০২৫-এর শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন পাঠ্যক্রম, সরকার অধীনস্থ স্কুলগুলিতে কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি, ক্রেডিট বেসড সেমেস্টার সিস্টেমও চালু হতে চলেছে। জানুয়ারি থেকে জুন পরীক্ষা হবে প্রথম সেমেস্টার, জুলাই থেকে ডিসেম্বরে হবে দ্বিতীয় সেমেস্টার। প্রতি ক্লাসেই দুটি করে হবে পরীক্ষা।
গৌতম পাল জানিয়েছেন, ২০০৯ রাইট টু এডুকেশন আইন অনুসারে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘নো ডিটেনশন’ পলিসি আছে। প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ৮০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করতে হবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ১০০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সিঙ্গল সেমিস্টারে ৩৭৬ ঘণ্টা করে ও তৃতীয় থেকে পঞ্চম সিঙ্গল সেমিস্টারে ৪৬০ ঘণ্টা কাটাতে হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ৬০ ঘণ্টার।পর্ষদের ঠিক করে দেওয়া প্রশ্নপত্রে হবে পরীক্ষা। মার্কশিটে মার্কসের সঙ্গে ক্রেডিট পয়েন্ট দেওয়া হবে।