দেশের চলচ্চিত্র জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত শ্যাম বেনেগাল। বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ২৩শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কর্মজীবনে একের পর এক উল্লেখযোগ্য ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তার চলচ্চিত্রকে মধ্য চলচ্চিত্র যুগ বলে উল্লেখ করা হয়। তাঁর ছবিতে নারীদের এবং তাদের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
হোয়াইট হাউস থেকে চিঠি আসল ইউনুসের কাছে
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই বার্ধক্য জনিত কারণে ভুগছিলেন শ্যাম বেনেগাল। ১৯৭৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মান লাভ করেন তিনি। পেয়েছেন পদ্মভূষণও। গত ১৪ই ডিসেম্বরে ৯০ বছর বয়সে পদার্পণ করেছিলেন পরিচালক। পরিবারের সাথে জন্মদিনের উৎসব পালন করেছিলেন। সেই জন্মদিন অনুষ্ঠানে যোগ দেন কূলভূষণ খারবান্দা, নাসিরউদ্দিন শাহ, দিব্যা দত্ত, শাবানা আজমি, রজিত কাপুর, অতুল তিওয়ারি, কুণাল কাপুররা। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতকে তিনি উপহার দিয়েছেন একের পর এক সিনেমা। ‘মন্থন’, ‘অংকুর’, ‘ভূমিকা’, ‘জুনুন’, ‘মান্ডি’, ‘নিশান্ত’ সহ বহু ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। ১৯৬২ সালে তৈরি করেন প্রথম তথ্যচিত্র, যা ছিল গুজরাতি ভাষায় তৈরি ‘ঘের ব্যায়টা গঙ্গা’।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম ছবি অঙ্কুর। ওয়েল ডান আব্বা (২০১০)-র পর দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ছবির জগত থেকে বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। তবে চলচ্চিত্র ভাবনা কোনওদিন তাঁর পিছু ছাড়েনি। সেই কারণেই ৯০ দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক তৈরি করেন শ্যাম বেনেগাল। গত বছরই মুক্তি পেয়েছিল তাঁর শেষ ছবি ‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন’ (বাংলায় মুজিব একটি জাতির রূপকার)।শোনা গিয়েছে, বেশ অনেক দিন ধরে সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস করার জন্য হাসপাতালে যেতে হত পরিচালককে। একাধিক শারীরিক সমস্যা থাকলেও কাজই ছিল তাঁর সাধনা, ধ্যানজ্ঞান।