ভারতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে চলছে। আতুল সুভাষ গার্হস্থ্য হেনস্থার জেরে মৃত্যুকে বেছে নিয়েছে। গত কয়েকদিনে বহু মানুষ অতুলের প্রসঙ্গ টেনে নিজেদের অসহায়তার কথা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মৃত্যুর আগে ২৪ পাতার একটি চিঠি লিখেছিলেন অতুল, তাতে তিনি স্পষ্টতই দায়ী করে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী, স্ত্রীর পরিবার এবং আদালতের বিচারককে। তিনি ৯০ মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আর্জি জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রসঙ্গত, এখানেই থেমে নয়, একের পর এক পর মানুষ ডিভোর্স, খরপোশ, হয়রানি, মানসিকচাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্যে ভুগছেন। অতুলের পর এল অলোক। গুরুগ্রামের ইউএক্স ডিজাইনার অলোক মিত্তল। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের মাত্রপাঁচ মাসের মাথায় তাঁর স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী যথেষ্ট বেতন পান। তবু তিনি বিচ্ছেদের পর ১.৫ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে দাবি করেছেন, ১ কোটি টাকা খোরপোশ দাবি করেছেন, এবং একটি বাড়িও দাবি করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্ট ডিলিট করার হুমকি দিয়েছেন, অন্যথায় অন্য একটি মামলা দায়ের করার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ অলোকের।
উলেখ্য, এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোক লিখেছেন, এরপর তাঁর কিছু হলে, কে দায়ী থাকবেন তিনি সেটা স্পষ্ট করে জানাতে চান। স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নাম লিখেছেন। তাদের ২০২৩ সালে বিয়ে হয়। বিয়ে পর তাঁর চাকরি চলে যায়। পরে বেঙ্গালুরুতে নতুন চাকরি, স্ত্রীর চাপে বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে ফের দিল্লি ফিরে যাওয়া, দীর্ঘ সময়ের কথা লিখেছেন তিনি। স্ত্রী দীর্ঘদিন তাঁদের ৪ বছরের সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে দেন না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।