শীতকাল মানেই চড়ুইভাতির মরশুম। এই সময় অনেকের মনে ঘোরে পিকনিকের পরিকল্পনা। আর ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি পিকনিকের আসল মরশুম। কারন সেই সময় স্কুল ও কলেজের সব পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। তাই বছরের শেষে বা নতুন বছরের শুরুতে করছেন কোন পিকনিকের প্ল্যান? চলুন জেনে আসি কলকাতার আসে পাশে কম খরচে কিছু পিকনিকের স্পট।
১. কল্যাণীর পিকনিক গার্ডেনঃ কলকাতা থেকে বেশিদূরে নয় পিকনিকের এই স্থান। এখানে পিকনিক করলে খরচও সেরকম হয়না। বেশি ট্র্যাভেল করতে না চাইলে এখানে গিয়ে পিকনিক করতে পারেন। খেলার জায়গা রয়েছে এখানে, তাই বাচ্চাদের এ জায়গা পছন্দ হবে।
২. গাদিয়াড়াঃ কলকাতার কাছেই রয়েছে এই বিখ্যাত পিকনিক স্পট। মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরত্বে এই জায়গায় যেতে সময় লাগবে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। রূপনারায়ণ, দামোদর এবং হুগলি নদী এখানে মিলেছে। মনকে শান্ত করার জন্য এখানকার পরিবেশই যথেষ্ট। এছাড়াও, সরকার দ্বারা নির্মিত একটি বাতিঘর এবং লর্ড ক্লাইভ দ্বারা নির্মিত দুর্গ, মর্নিংটন পয়েন্ট ফোর্ট দেখতে পাওয়া যাবে এখানে। চাই নৌকা ভ্রমণও করতে পারেন।
৩. ডায়মন্ড হারবারঃ রাজ্যের একটি খুব জনপ্রিয় বন্দর শহর ডায়মন্ড হারবার কলকাতা থেকে ৫৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হুগলি নদীর বালুকাময় তীরে এই স্থানটি বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে গঙ্গা নদীর সঙ্গম। বোট রাইডিং করতে পারেন এখানে গিয়ে। সারাবছরই এখানে বহু মানুষ পিকনিক করতে আসেন। অস্তগামী সূর্যের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আপনাকে মোহিত করে করে দেবে।
৪. গড়চুমুকঃ ঘুরে আসতে পারেন হাওড়ার শ্যামপুর এলাকা থেকে। এখানকার গড়চুমুক বিখ্যাত পিকনিক স্পটের মধ্যে অন্যতম।
৫. দেউলটিঃ কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রূপনারায়ণ নদীর তীরে বসে একটি মনোমুগ্ধকর গ্রাম হল দেউলটি। শহরের জীবনের বিশৃঙ্খলা থেকে একটি নিখুঁত অবকাশ দেয়। পাখির কিচিরমিচির, সবুজের সমারোহ, নদীর অপূর্ব দৃশ্যের সঙ্গে গ্রামটি যেন এক লুকোনো মুগ্ধতা। দেউলটির কাছে অবস্থিত সামতাবের গ্রামটিও একটি বিখ্যাত স্থান। কারণ এটি বিখ্যাত সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। সামতাবেরের বাড়িতে এখনও তাঁর পুরনো আসবাবপত্র ইত্যাদি রয়েছে।
৬. মাইথনঃ পিকনিক তো করবেনই, যদি এক বা দুরাত থাকতেও চান, তাহলে মাইথন পৌঁছে যেতে পারেন।
৭. টাকি: কলকাতা থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত টাকি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে। টাকিতে জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরীর আদি বাড়ি, কুলেশ্বরী কালী মন্দির এবং ৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো জোড়া শিব মন্দিরের মতো কিছু আশ্চর্যজনক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে এখানে। এই অঞ্চলটি মাছরাঙা দ্বীপ পয়েন্টে ভাসা এবং ইছামতি নদীর সঙ্গমও। সবুজে ভরপুর, আকর্ষণীয় এবং চিত্তাকর্ষক অভিজ্ঞতার জন্য গোলপাতার জঙ্গলও ঘুরে আসতে পারেন।
১৪ দিনের জেল হেফাজতে আল্লু অর্জুন
৮. পানিত্রাসঃ কোলাঘাটের ঠিক আগেই দেউলটি। অনেকে শীতে পিকনিকের জন্য বা বেড়ানোর জন্য দেউলটিতে ভিড় করেন। সেখানে না গিয়ে পানিত্রাসেও যেতে পারেন। নদীর পাড়ে নিরিবিলিতে কেটে যাবে সারাদিন।
৯. বুড়ুলঃ গঙ্গার ধারের এই জায়গাও পিকনিকের জন্য ভাল। রায়পুরের গঙ্গার কাছেই রয়েছে বুড়ুল। একাধিক পিকনিক স্পট, রিসর্টও রয়েছে। পিকনিক করে এক রাত কাটাতে চাইলেও এখানে থাকতে পারেন।
১০. বাকসিঃ হাওড়ার বাগনানের কাছে বাকসি। এই এলাকা পিকনিকের জন্য বিখ্যাত। বাগনান থেকে বাকসি যাওয়ার জন্য বাস পাওয়া যায়। কলকাতা থেকে এই জায়গায় পৌঁছতে বেশি সময় লাগে না।